| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় ভূমিহীন মানুষের বসতবাড়ি দোকানপাট উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 05-01-2025 ইং
  • 2997 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় ভূমিহীন মানুষের বসতবাড়ি দোকানপাট উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন।
ছবির ক্যাপশন: কুষ্টিয়ায় উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়া মিলপাড়া রেল লাইন সংলগ্ন ভূমিহীন মানুষের বসতবাড়ি দোকানপাট উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টার সময় কুষ্টিয়া বড় স্টেশন রেল সংলগ্ন রাস্তার উপর ছিন্নমূল ভূমিহীন জনসাধারণ বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো সরকারি জায়গার উপর বসবাসরত ও দোকানপাটের মাধ্যমে আয় উপার্জন করে সংসার চালাই। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাড়ি ঘর দোকান পাট সমস্ত কিছু উচ্ছেদ করার  নোটিশ প্রদান  করেন। এতে করে এলাকায় বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং ছিন্নমূল মানুষগুলো তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে অসহায় হয়ে যাবেন। তাই ছিন্নমূল নারী-পুরুষ একত্রে মানববন্ধন করেন। সে সময় নারী-পুরুষ একত্র হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করো করতে হবে। মানি না মানবো না অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান মানবো না।  তাদের আয় উপার্জন ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার পর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সরকারি জায়গা অবমুক্ত করুক এমন প্রত্যাশা করেন এলাকাবাসী। তাইতো এলাকার সুশীল সমাজ ছিন্নমূল মানুষদের পাশে এসে দাঁড়ায় এবং তাদের সাথে একত্রতা ঘোষণা করেন। ৫ আগস্ট সৌর শাসক সরকারকে হটিয়ে নতুন করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশের সূচনা করার পরও যদি ছিন্নমূল মানুষের কোন বসবাসের ব্যবস্থা না হয় তাহলে হাজার হাজার মানুষের জীবন দিয়ে নতুনভাবে দেশ স্বাধীন করে লাভ কি হলো। অন্তবর্তীকালীন সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে ছিন্নমূল মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সেই সময় যদি রেল ওয়ে কর্তৃপক্ষের হঠকারী সিদ্ধান্ত হয় তাহলে এটা কোন রকম ভাবে মেনে নেয়া হবে না এমন হুঁশিয়ারি দেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এই হটকারী সিদ্ধান্তের ফলে এলাকায় চুরি, রাহাজানি, ডাকাতি, ছিনতাই এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। সে সময় বক্তারা বলেন রেলের প্রয়োজনীয় জায়গা রেল কর্তৃপক্ষ নেবে তাতে কোন বাধা নেই। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের অপ্রয়োজনীয় জায়গা যা কখনোই রেলের কাজে আসে না সেই জায়গাগুলো ছিন্নমূল মানুষদের মাঝে স্বল্পমূল্যে লিজ দিলে তাতে সরকারের কোন ক্ষতি নেই,উল্টো এতে সরকার রাজস্ব পাবে। তবে রেল কর্তৃপক্ষের কিছু অসাধু অফিসারের কাছে এই সকল ছিন্নমূল  মানুষগুলো জায়গা লিজ নেওয়ার জন্য যখন যায়, তখন তাদের জমি বরাদ্ধ দেয়ার জন্য তাদের কাছে হাজার হাজার টাকা ঘুষ চাওয়া হয়। যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের কাছে যদি অবাস্তব অর্থ দাবি করা হয় তাহলে তারা যাবে কোথায়? উচ্ছেদ নয় আলোচনার মাধ্যমে একটি সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে হবে। আমরা উন্নয়নের বিপক্ষে নয় আমরা সবসময় উন্নয়নের পক্ষে আছি। ছিন্নমূল মানুষদের  স্থায়ী বসবাসের জায়গা ঠিক করে দিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। রেলওয়ের শত শত একর জায়গা পড়ে আছে সেই পড়ে থাকা জায়গাগুলো লিজ দিয়ে ছিন্নমূল মানুষগুলোর স্থায়ী বসবাসের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। তাই প্রশাসনের সুদৃষ্টি কাম্য এলাকাবাসীর। 

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম