এ কে এম নাজমুল আলম

কুষ্টিয়া জেলায় এবছর কাঁঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে ঝুলছে বড় বড় কাঁঠাল। চাষিরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে, আর বাজারমূল্যও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সদর জেলার আলামপুর, আব্দালপুর, উজানগ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় কয়েক শতাধিক কৃষক বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠাল চাষ করছেন। অনেকেই বাড়ির উঠান বা জমির আইলে গাছ লাগিয়েও ফলন পাচ্ছেন। চাষি মতিউর রহমান বলেন এই বছর কাঁঠালের গাছে প্রচুর ফল এসেছে। প্রতিটি গাছে গড়ে ১৫-২০টি করে বড় কাঁঠাল ঝুলছে। খুব একটা পোকামাকড়ের আক্রমণও হয়নি।”উপজেলা কৃষি অফিসার মোছাম্মদ রূপালী খাতুন  এবার প্রায় ৩০০ বেশি একর জমিতে কাঁঠালের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন খুবই ভালো হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কীটনাশক ব্যবস্থাপনা ও সার প্রয়োগ নিয়ে। ড়স্থানীয় বাজারে ইতোমধ্যে কাঁঠাল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কাঁঠাল ১০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন বড় শহরে সরবরাহ করার জন্য পাইকাররা এলাকা ঘুরে ঘুরে কিনে নিচ্ছেন।কাঁঠালের পাশাপাশি এর বিচি ও গাছের কাঠও বিক্রিযোগ্য হওয়ায় চাষিরা লাভের মুখ দেখছেন। অনেকেই বলছেন, সঠিক সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধা পেলে কাঁঠাল হতে পারে কুষ্টিয়া জেলার একটি অন্যতম অর্থকরী ফসল।চাষিদের দাবি সরকার যদি রপ্তানি সুবিধা, সংরক্ষণ ব্যবস্থা এবং যান্ত্রিক সহায়তা আরও জোরদার করে, তাহলে কাঁঠাল চাষে কুষ্টিয়া  অর্থনীতি এক নতুন দিগন্তে পৌঁছাতে পারে।