মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদারকুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ৭২৫/৭২৬ সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও ৭৯৫/৭৯৬ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে সচিবালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ইতিহাস-ঐতিহ্যের এই জনপদের মানুষের প্রাণের দাবি রূপে এ দাবি উঠে আসলেও রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।
দাবির যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে এবার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে উপস্থাপন করেছেন কুমারখালীর কৃতি সন্তান, যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শাকিল আহমেদ তিয়াস। তিনি রেলপথ মন্ত্রণালয়, রেলসচিব, রেল উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অফিসিয়ালভাবে যোগাযোগ করে কুমারখালী স্টেশনে উক্ত দুইটি ট্রেনের যাত্রা বিরতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন।
রেল সচিবের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে স্মারকলিপি গ্রহণ করেছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন। জানা গেছে, আবেদনটি এখন রেলওয়ের ৪টি পৃথক শাখায় ইনকোয়ারি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। এই প্রক্রিয়ায় কুমারখালী রেলস্টেশনে জনবল, অবকাঠামো, পূর্ববর্তী স্টপেজের দূরত্বসহ একাধিক দিক বিবেচনা করা হবে।
তিয়াস বলেন, “মানুষের কল্যাণে কাজ করাই রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্য। কুমারখালী-খোকসা অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাওয়ার প্রতি আমি দায়বদ্ধ। আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি বাস্তবায়নে আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কুমারখালী রেলস্টেশনে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বিরতি দেওয়া হয়, তাহলে যাত্রী সাধারণ উপকৃত হবে, একইসাথে বাংলাদেশ রেলওয়ে অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে।”
স্থানীয়দের মতে, কুমারখালী একটি শিল্প, সাহিত্য ও বাণিজ্যনগরী—এখানে স্টপেজ দিলে যাত্রীসংখ্যা ও রাজস্ব উভয়ই বাড়বে।
দাবির বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে এলাকাবাসী আগেও মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। এবার সরাসরি মন্ত্রণালয়ে পৌঁছানোয় দাবি বাস্তবায়নে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে কুমারখালীবাসীর মধ্যে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |