কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মো. মুনজুরুল ইসলাম
“চাঁদা তুলে পল্টনে চলে যায়, পরে লন্ডনে”—এভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ইঙ্গিত করে সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তিনি বলেন, "আমি বলছি না, পাবলিক বলছে—বিএনপির গুণ নয় মাসে দেড়শো খুন। এগুলো দেখার জন্য কি আমরা আন্দোলন করেছিলাম, সংগ্রাম করেছিলাম?" বুধবার (৯ জুলাই) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালী-খোকসা উপজেলা শাখার উদ্যোগে পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক গণসমাবেশে এসব মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন—এই তিনটি দাবিকে সামনে রেখে আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম। কিন্তু এখন দেশের ব্যবসায়ী, মা-বোন কেউই নিরাপদ নয়। আজকের যুবকরা বেকার, হতাশ। আমরা চাই এমন একটি দেশ, যেখানে সবাই নিরাপদে থাকতে পারবে, ব্যবসা করতে পারবে এবং চাঁদামুক্ত পরিবেশে বাঁচতে পারবে।” ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালের একটি মন্তব্য উদ্ধৃত করে ফয়জুল করিম বলেন, “সংস্কার ছাড়া হাজার বছর নির্বাচন করলেও তা সুষ্ঠু হবে না।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপি এখন জাতীয় সংসদ গঠনে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) সিস্টেম চায়, যাতে সংখ্যানুপাতিক হারে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা যায়। এতে সব মত ও পথের লোক সংসদে প্রবেশ করতে পারবে, হরতালের দরকার হবে না।” ‘মব সংস্কৃতি আওয়ামী লীগের আমলে চরমে পৌঁছেছে’ ‘মব’ প্রসঙ্গে ফয়জুল করিম বলেন, “আমি মনে করি মব খুবই খারাপ একটি জিনিস। আওয়ামী লীগের আমলে মব কালচার চূড়ান্ত পর্যায়ে গেছে। আয়নাঘরে মানুষ হত্যা, গুম—এসব কি মব নয়?” তিনি দাবি করেন, “আমিও মবের শিকার হয়েছিলাম, আমাকেও আক্রমণ করা হয়েছিল।” তিনি মব সংস্কৃতি বন্ধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ দাবি করেন।গণসমাবেশে নেতৃবৃন্দের বক্তব্য খোকসা উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আনোয়ার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন—দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নুরুল আকরামসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আরিফুল ইসলাম সহকারী দপ্তর সম্পাদক মাওলানা কেএম শারিয়তুল্লাহ জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি রেজাউল করিম আবরার কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আহমদ আলী জেলা সেক্রেটারি জিএম তাওহীদ আনোয়ার কলরব শিল্পীগোষ্ঠীর পরিচালক মুফতি সাঈদ আহমেদ প্রমুখ। গণসমাবেশে বক্তারা দেশের রাজনৈতিক সংস্কার, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন এবং ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |