| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় আগাম কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 15-04-2025 ইং
  • 4195 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় আগাম কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের
ছবির ক্যাপশন: স্বল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় আগাম কচু চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

কুষ্টিয়া উপজেলা প্রতিনিধি: এ কে এম নাজমুল আলম 

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে  কচু চাষ শুরু করেছে কৃষকেরা। কচু চাষের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা যোগাচ্ছে মিরপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কচু চাষে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে মিরপুর উপজেলার অনেক কৃষক। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায় মাঠে মাঠে কচু চাষ করেছে কৃষকেরা। বিশেষ করে সদরপুর ইউনিয়নের কাতলামারী ও মালিহাদ ইউনিয়নের অনেক কৃষক আগাম জাতের কচু চাষ  করে ভালো ফলনের আশায় কঠোর পরিশ্রম করছেন।   যদি কৃষকেরা কচুর ভালো বাজার মূল্য পায় তাহলে তারা কচু চাষে লাভবান হবেন এবং পরবর্তী বছরগুলোতে কচু চাষে আগ্রহ বাড়বে। কৃষকেরা জানান প্রতিবিঘা জমিতে  ১০০ থেকে ১২০ মন কচু উৎপাদন হবে। কৃষকেরা বলেন কচুর বাজার মূল্য প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা হলে তারা লাভ হবেন। এ বছর এখনো বৃষ্টি না হওয়ায় কৃষকেরা কিছু সংশয় ভুগছেন। এ কারণে কৃষকদের কচু চাষে ব্যয় বৃদ্ধি হতে পারে। কৃষকেরা জানান কচু চাষে প্রতি বিঘায় প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এর মধ্যে বীজ, সার, সেচ, শ্রমিক মজুরি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। তবে, আগাম জাতের কচু চাষে খরচ তুলনামূলক কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা এতে আগ্রহী হচ্ছেন। কারণ আগাম জাতের কচু বাজার দর ভালো পাওয়া যায়। মিরপুরের কচু স্থানীয় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও  পাইকারি দরে বিক্রি হয়। খুচরা বাজারে কচুর দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে একটু বেশি। কৃষকরা জানান, সরাসরি পাইকারদের কাছে বিক্রি করে তারা ভালো দাম পায়। কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান এই অঞ্চলের মাটি কচু চাষের জন্য উপযোগী। আগাম কচু চাষ করলে বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায়। এছাড়া কচুতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পুষ্টি থাকায় এর চাহিদা বাজারে সবসময় থাকে। কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন তিনি ১০ কাঠা জমি থেকে কচু চাষ করে প্রতি কাটা জমি থেকে ৫-৬ মন করে কচু পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন এবার কচুর বাজার অনেক ভালো যদি এভাবে বাজার দর থাকে তাহলে ভালো পয়সা পাওয়া যাবে। মালিহাদ ইউনিয়ন এর আরেক চাষী রাজামিয়া বলেন  আমি প্রথমে ১৫ কাটা জমিতে কচু চাষ করেছিলাম। এবার দুই বিঘা জমিতে কচু চাষ করেছি। আগে আমি  তামাক চাষ করতাম কিন্তু তামাকে প্রচুর পরিশ্রম এবং সেই তুলনায় পয়সা কম। আর পরিবেশ দূষিত হয় মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠে তাই এইবার গতবারের তুলনায় বেশি করে আগাম কচু চাষ করেছি। এভাবেই মিরপুর উপজেলার কচু চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক ফসল হয়ে উঠেছে সঠিক পরিকল্পনা ও বাজার উপস্থাপনার মাধ্যমে এই সাফল্য আরো বৃদ্ধি পেতে পারে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম