| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে অধিক মুনাফায় খুশি চাষিরা, আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরাও

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 22-01-2025 ইং
  • 36779 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষে অধিক মুনাফায় খুশি চাষিরা, আগ্রহী হচ্ছেন অন্যরাও
ছবির ক্যাপশন: বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম

উচ্চফলনশীল বিদেশি সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের নানা বয়সী অন্তত ৩০ কৃষক। চলতি মৌসুমে তাঁরা ইউনিয়নের নিয়ামতবাড়িয়া গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায় প্রায় ১০ বিঘা জমিতে এই সবজি চাষ করেছেন। গাছে ভালো ফল আসায় ইতিমধ্যে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ১৫০-২০০ টাকা দরে প্রায় দুই হাজার কেজি ক্যাপসিকাম প্রায় তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ক্যাপসিকাম চাষ থেকে চলতি মৌসুমে খরচ বাদ দিয়ে ১৪ লক্ষাধিক টাকা মুনাফা সম্ভব হবে। স্বল্প সময়ে ক্যাপসিকাম চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় বিদেশি এই সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকেরাও।চাঁদপুর ইউনিয়নে জংগলী আধুনিক কৃষি সমবায় সমিতি নামে কৃষকদের একটি সংগঠন রয়েছে। সমিতির সভাপতি ইলিয়াস হোসেন (খসরু) ২০২৪ সালে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে দুই বিঘা (৩৩ শতকে বিঘা) জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ করেন। সে বছর ২ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে তিনি প্রায় ৪ লাখ টাকা মুনাফা পান। এতে ক্যাপসিকাম চাষে আগ্রহ দেখান সমিতির অন্য সদস্যরাও। তাঁদের মধ্যে ৩০ জন নানা বয়সী শিক্ষিত, অল্পশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত কৃষক যশোর অঞ্চলের ‘টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতা’য় নিয়ামতবাড়িয়া মাঠপাড়া এলাকায় ১০ বিঘা জমিতে নিরাপদ উচ্চফলনশীল সবজি ‘ইন্দ্রা গোল্ড’ জাতের ক্যাপসিকাম চাষ করেন। ১২০ দিন জীবনকালের এ সবজির চারা রোপণের ৬০ দিনের মাথায় ফল দেওয়া শুরু হয়েছে।

কুমারখালী উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, একদল কৃষক উচ্চমূল্যের সবজি ক্যাপসিকাম চাষ করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। কৃষি অফিসের পরামর্শ, উপকরণ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষকেরা প্রায় ৮-১০ লাখ টাকা খরচ করে ২৪ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রির স্বপ্ন বুনছেন।কৃষক লিখন আলী জানান, জমির ইজারা, চারা, সার, পরিচর্চাসহ ১০ বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে তাঁদের খরচ হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। গত সাত দিনে প্রায় দুই হাজার কেজি ক্যাপসিকাম তুলেছেন। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম পাইকারি ১৫০-২০০ টাকা করে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। জমিতে যে পরিমাণ ক্যাপসিকাম হচ্ছে, তাতে উৎপাদন আগামী দুই মাসে প্রায় ১৪ হাজার কেজির প্রত্যাশা করছেন। এতে অনায়াসেই ২১–২২ লাখ টাকার ক্যাপসিকাম বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদী।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম