| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় অতিথি পাখির দল বেঁধে ওড়াউড়ি আর কিচিরমিচিরে মুখরিত

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 25-01-2025 ইং
  • 36423 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় অতিথি পাখির দল বেঁধে ওড়াউড়ি আর কিচিরমিচিরে মুখরিত
ছবির ক্যাপশন: অতিথি পাখির দল বেঁধে ওড়াউড়ি আর কিচিরমিচিরে মুখরিত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম 

হিম হিম শীত শীত, শীত বুড়ি এলো রে, কনকনে ঠান্ডায় দম বুঝি গেল রে'- কবির অনুপম সুরের ব্যঞ্জনার মতো শীতের গাত্র নিংড়ানো সিক্ততায় দম ফাটার উপক্রম লগ্নে চিরসবুজ বাংলায় ছুটে আসে পরিযায়ী মেহমান। পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে মুখর কুষ্টিয়ার নদ-নদী, বিল-বাওড়। শীত মৌসুমে প্রতি বারের মতো এবারও জেলার বিভিন্ন নদ-নদী, বিল-বাওড়ে এসেছে অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। সকাল থেকে বিকাল, দলবেঁধে পাখির আকাশে ওড়ার অপরূপ দৃশ্যের দেখা মিলছে জেলার বিভিন্ন বিল-বাওড়, নদীতে। পাখির কিচিরমিচির আর জলে ডানা ঝাপটানোর শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে এসব এলাকা। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়ার মিরপুর রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন জলাশয় ঘুরে দেখা যায়, রেললাইনের দু’ধার দিয়ে বিশাল বিশাল জলাশয়ে এসেছে অসংখ্য অতিথি পাখি।অতি সুন্দর, ছন্দিত অতিথি পাখি। অতিথিদের কলকাকলি, ঝাঁকে ঝাঁকে বিচরণ, জলকেলি আর খুনশুটিতে মুখর হয়ে ওঠে বাংলার লাল-সাদা শাপলার শোভা নিসর্গমন্ডিত জলাশয়গুলো। অতিথিদের পদচারণায় অনন্য যৌবনা বাংলার সৌন্দর্য আরও বহুগুণে বেড়ে যায়। প্রতি বছর হিমালয়ের উত্তরের দেশ সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে প্রচুর তুষারপাতের কারণে অতিথি পাখিরা লাল সবুজে মোড়া, ব-দ্বীপ আকৃতির রূপসি বাংলার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীত চলে গেলে তারাও চলে যায় তাদের আপন ঠিকানায়। এই বাংলাতে ছুটে আসা অতিথিদের মধ্যে বেশির ভাগই হাঁস জাতীয়। এর মধ্যে সরালি, পচার্ড, ফ্লাইফেচার, গার্গেনি, ছোট জিরিয়া, মুরগ্যাধি, কোম্বডাক ও পাতারি অন্যতম। এছাড়া অন্য প্রজাতির পাখির মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানিকজোড়, কলাই, ছোট নগ, জলপিপি, নাকতা, খঞ্জনা, চিতাটুপি, লাল গুড়গুটি প্রভৃতি। অতিথি পাখির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতিসহ বিলুপ্ত প্রজাতির পাখিরও দেখা মেলে এখানে। জলময়ুর, ডুবুরি, খোঁপা ডুবুরি, ছোট পানকৌরি, বড় পানকৌরি প্রভৃতি প্রজাতির পাখি বেশি দেখা যায়। শহরের যান্ত্রিকতা আর ধুলাবালিমুক্ত প্রকৃতি ও পাখির ছোঁয়া পেতে বাংলার লেকগুলোর পাড়ে শত শত পাখিপ্রেমীদের ভিড় জমে। ছোট-বড় আধভাঙা উঁচু ঢিবি আর জলাশয়ের পাড়ে পাখিরা ঝাঁক বেঁধে ওড়ে সাঁই সাঁই করে। পরক্ষণেই ঝপাৎ করে বসে যায় জলাধারে। কোনোটি আবার সাঁতার কাটে আপন মনে। অতিথি পাখিদের দলবেঁধে উড়ে বেড়ানোর মনোহরা সৌন্দর্য নিজ চোখে না দেখলে মোটেই বোঝা যাবে না। এসব পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে স্টেশন এলাকার দুই পাড়। ঘুরতে আসা উজ্জল রহমান  নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘এর আগে এখানে এত অতিথি পাখি দেখিনি। এবার প্রচুর পরিমাণে এখানে অতিথি পাখি এসেছে। এসব পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ার দৃশ্য ভীষণ মুগ্ধকর।’স্থানীয় হাবিব নামের এক যুবক বলেন, ‘শীত মৌসুমে এসব এলাকায় অসংখ্য অতিথি পাখি দেখা যায়। এসব পাখির জমায়েত, একসঙ্গে উড়াউড়ি দেখতে খুবই দারুণ লাগে। এসব এলাকা কিছুটা নিভৃত হওয়ায় পাখিরাও বেশ স্বস্তিতে এখানে বসবাস করতে পারে।’ স্থানীয় মুদি দোকানদার আরাফাত আলী বলেন, ‘এ বছর আমার দোকানের পেছনে রেলওয়ের খাদে অসংখ্য অতিথি পাখি এসেছে। সকাল থেকে সারাদিন এসব পাখির ঝাঁক বেঁধে উড়ার দৃশ্য খুব চমৎকার লাগে। আমি সব সময় খেয়াল রাখি এসব পাখি যেন কেউ শিকার না করতে পারে সামিউল ইসলাম বলেন, ‘এবার শীত মৌসুমে আমাদের এলাকায় বিপুলসংখ্যক পরিযায়ী পাখি এসেছে। সেগুলোর মধ্যে বালিহাঁসের সংখ্যা বেশি।’

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম