| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে কৃষকেরা

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 31-01-2025 ইং
  • 82383 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে কৃষকেরা
ছবির ক্যাপশন: গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খালে পানি সরবরাহ বন্ধ, বিপাকে কৃষকেরা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম 

পদ্মা নদীতে চর ও পানির স্তর নেমে যাওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহত্তম সেচ প্রকল্প কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্প খালে এবারও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন এই মৌসুমের বোরো চাষিরা। এতে ফসলি জমিতে সেচ দিতে না পরায় চারটি জেলার লক্ষাধিক কৃষক বিপাকে পড়েছেন। কৃষকেরা বলেন, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় ৪ জেলার ১৩ উপজেলার পৌনে ৫ লাখ একর জমিতে সেচ দেওয়া হয়। পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় বোরো ধান আবাদে ব্যাহত হতে পারে। জানা গেছে, ১৫ জানুয়ারি সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা সব খালে পানি আসার কথা ছিল। কিন্তু জানুয়ারি শেষ হয়ে গেলেও পানির দেখা মেলেনি। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় জিকে সেচ খালের পানি শূন্য। খাখা করছে পুরো খালটি, কৃষকদের দাবি, জিকে সেচখালের পানি দিয়ে চাষাবাদ করতে খরচ হয় বিঘাপ্রতি মাত্র ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিজেলচালিত শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে চাষাবাদে খরচ ১০-১২ হাজার টাকা। বিপুল খরচের কারণে অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জিকে সেচ প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৪ জেলার ১৩টি উপজেলার প্রায় পৌনে ৫ লাখ একর জমি। তিনি জানান, আমরা ইতোমধ্যে কৃষকদের বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি। অনেককেই বিএডিসি সেচ প্রকল্পের আওতায় এনেছি। ভেড়ামারার জিকে পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর এই সেচ প্রকল্পের কাজ চলে। এটি মূলত পদ্মা নদীর পানি দ্বারা পরিচালিত হয়। বর্তমানে নদীর পানির লেভেল ৫ দশমিক ৫ মিটার। ৪ দশমিক ৫ মিটারের নিচে সেচ কার্যক্রম সম্ভব নয়। এ ছাড়া নদীতে বড় আকারের চর পড়েছে। আমরা ড্রেজিংয়ের কাজ চলমান রেখেছি। পানির লেভেল যদি ঠিক থাকে এবং ড্রেজিংয়ের কাজ সুসম্পন্ন হলে, আশা করি ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেচ প্রকল্প শুরু করতে পারব। অনেক কৃষকের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি সঠিক সময় জিকে সেচ প্রকল্পের পানি না পেলে কৃষকদের বোরো ধান চাষে খরচ বেড়ে যাবে। পাশাপাশি অনেক কৃষি জমি অনাবাদি থেকে যাবে। তাই এখনই যদি খালে পানি না যায়, তবে কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়বে।


ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম