কুষ্টিয়া প্রতিনিধি মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়ায় ফিলিস্তিনের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে সংহতি জানিয়ে ও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। চলমান আগ্রাসন ও নারী-শিশুসহ হাজারো নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী হরতালের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ জনতা। এসময় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চৌড়হাস মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় মিছিলকারীরা ইসরায়েলবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ফিলিস্তিনে হামলা কেন জাতিসংঘ জবাব চাই, বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো আমরা সবাই নবীর সেনা ভয় করি না বুলেট বোমা, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো,বলে স্লোগান দেন। কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের জনগণের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে রাজনৈতিক সংগঠন, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।এ সময় মিছিলকারীদের হাতে লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজল মাজমাদার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক জি এম তাওহীদ আনোয়ান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ইসরায়েলিরা গাজায় শিশু, নারী ও নিরীহ মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করছে। আজ মানবতা কোথায়। এই হত্যা বন্ধ করা না হলে ইসরায়েলি সকল পণ্য বয়কট করা হবে। পরিশেষে মুসলিম বিশ্ব ও বিশ্ববাসীদের গাজাবাসীদের পাশে দাঁড়ানো আহবান জানান বক্তারা।সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজা গণহত্যা চলমান থাকলেও বিশ্ব বিবেক আজ নিশ্চুপ। কোথায় মানবাধিকার ? আমাদের শক্তি সঞ্চয় করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সমস্ত মুসলমান ভাই ভাই ও একটি দেহের মতো। দেহের একটি অঙ্গ যদি ঠিকমতো কাজ না করে তাহলে শারীরিক ক্রিয়া যেমন ব্যাহত হয়, ঠিক তেমনি একজন মুসলিম ভালো না থাকলে অন্যরাও ভালো থাকতে পারে না। মুসলিম হিসেবে আমাদের লজ্জা অনুভব হয় যে, আমরা এখনও এই অসহ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে পারছি না। মুসলমানদের পুরনো ঐতিহ্য আমরা ভুলে যেতে বসেছি।শিক্ষার্থীরা জানান, ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজায় নির্মমভাবে মানুষকে হত্যা করছে। তাদের এই হত্যাযজ্ঞ দেখে বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ এবং ব্যথিত। তারা চান দ্রুত যেন বিশ্ববাসী এ গণহত্যা বন্ধ করে।উল্লেখ্য, দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা কর্মসূচির মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী মানুষ ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিক্ষোভ মিছিল শেষে গাজার শহিদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |