কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়ায় লালশাক চাষ কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক ও জনপ্রিয় কৃষি কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি ও অনুকূল জলবায় লাল শাগের চাষের জন্য উপযুক্ত। কৃষকরা এই ফসল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কারণ এটি অল্প সময়ের চাষ করা যায় ইহার বাজারের চাহিদা ভালো। রঙ এবং স্বাদের জন্য লাল শাক বরাবরই অনন্য। বিশেষ করে শিশুদের কাছে প্রিয় একটি শাক লাল শাক। ১০০ গ্রাম লাল শাকে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ রয়েছে ৩৭৪ মিলি গ্রাম, যেখানে পুঁই শাকে ১৬৪ মিলি গ্রাম, মূলা শাকে ২৭.৯০ মিলি গ্রাম, পালং শাকে ৭৯ মিলি গ্রাম, ডাঁটা শাকে ৮০ মিলি গ্রাম, বেগুনে ২৬ মিলি গ্রাম, বাঁধা কপিতে ৩০.৫ মিলি গ্রাম।*লাল শাক ভিটামিন ‘এ’-তে ভরপুর। লাল শাক নিয়মিত খেলে দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে এবং অন্ধত্ব ও রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা যায়।শরীরে অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে গিয়ে যেসব অসুখ হয় তা প্রতিরোধ করে লাল শাক। লাল শাকে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল শাকের বিটা-ক্যারোটিন হার্টস্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি মস্তিষ্ক ও হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে এবং দন্ত ও অস্থি গঠনে অবদান রাখে। দাঁতের মাড়ি ফোলা প্রতিরোধ করে।লাল শাক শিশুদের অপুষ্টি দূর করে। ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও লাল শাক যথেষ্ট উপকারি। এ ছাড়াও এটি শরীরের ওজন হ্রাস করে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার গোলাম রব্বানী বলেন লালশাক ভালোভাবে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। লাল শাক চাষের জন্য মাটিকে ৪-৬ বার চাষ ও মই দিয়ে প্রস্তুত করতে হয়। সরাসরি বীজ বপনের সময় লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ১৫ ইঞ্চি এবং চারা থেকে চারা দূরত্ব ৮-১০ইঞ্চি রাখতে হয়। শতক প্রতি ৮ থেকে ১০ গ্রাম বীজ প্রয়োজন হয়। সার ব্যবস্থাপনায় প্রতি ৪০ কেজি গোবর সার ৮০০ গ্রাম ইউরিয়া ৪০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৬০০ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করা হয়। লাল শাক ফুল হতে হইলে সঠিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করা সময়মতো সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং রোগবালায় প্রতিরোধে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণ করলে লালশাকের ফলন বৃদ্ধি পাবে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |