| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়া ঢেঁড়স চাষে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 18-04-2025 ইং
  • 624 বার পঠিত
কুষ্টিয়া ঢেঁড়স চাষে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য
ছবির ক্যাপশন: ঢেঁড়স চাষে বদলে যাচ্ছে কৃষকের ভাগ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: এ কে এম নাজমুল আলম 

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার ঢেঁড়স (ভেন্ডি)চাষ একটি লাভজনক কৃষি কার্যক্রম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই অঞ্চলের উর্বর মাটি ও অনুকূল জলবায়ু ঢেঁড়স চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করছে। মিরপুরের কৃষকেরা ঢেঁড়স চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কারণ ঢেঁড়স চাষে খরচ কম, লাভ বেশি ও স্বল্প সময়ের প্রতিটি গাছ হতে ঢেঁড়স সংগ্রহ করা যায়। ঢেঁড়স গাছে রোগ বালাই কম হয়। এছাড়া স্থানীয় বাজারে ঢেঁড়সের চাহিদা বেশি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য জেলাতেও ঢেঁড়স সরবরাহ করা যায় খুব সহজে। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তায় অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ঢেঁড়স চাষে দিন দিন কৃষকদের আগ্রহ বেড়েই চলেছে। ঢেঁড়স সাধারণত গ্রীষ্মকালীন ফসল তবে সঠিক জাত ও চাষ পদ্ধতি অনুসরণ করলে সারা বছরে চাষ করা সম্ভব। ঢেঁড়সের চাহিদা সারা বছরই থাকে তবে সরবরাহ মৌসুম ভেদে পরিবর্তিত হয়। উৎপাদন বেশি হলে বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। তবে কমবেশি সারা বছরই বাজারে ঢেঁড়সের চাহিদা থাকে।তবে ঢেঁড়স চাষে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে মৌসুমী রোগবালায় ও পোকামাকড়ের আক্রমণ ফসলের উৎপাদনশীলতা হ্রাস করতে পারে। এছাড়া বাজারে ন্যায্য মূল্য না পাওয়া এবং পরিবহন সমস্যা কৃষকদের জন্য উদ্বিগ্নের বিষয়।  এই সবজির উৎপাদন আশানুরূপ হলেও, নানা সংকটে বিপাকে পড়েছেন গ্রাম বাংলার কৃষক। কৃষক আলফাজ উদ্দিনের দাবি—তারা ঢেঁড়স চাষে নিজের পুঁজি খাটিয়ে উৎপাদন করলেও পাচ্ছেন না পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা। বীজ, সার ও সেচ খাতে নেই পর্যাপ্ত ভুর্তুকি। পাশাপাশি আধুনিক প্রশিক্ষণ ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনার সুযোগ না থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কৃষক আবুল বাশার জানায়, "আমরা নিজেরা চেষ্টা করে ঢেঁড়স চাষ করি । বাজারে ভালো চাহিদাও আছে। কিন্তু সরকার থেকে যদি ভালো বীজ, সার, আর কিছু প্রশিক্ষণ দিত—তাহলে আমরা আরও ভালো ফলন করতে পারতাম। মিরপুরের কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান  একক কোন চারা বিতরণ করা হয় না। বিভিন্ন ধরনের ১৭ প্রকার বীজ বিতরণ করে থাকেন যেমন লাল শাকের বীজ, বেগুনের চারা ইত্যাদি।  এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় মিরপুর উপজেলার কৃষি বিভাগ গুলোতে পর্যাপ্ত বিভিন্ন উদ্বোগগ্রহণ করলে কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান উন্নত জাতের বীজ সরবরাহ এবং আধুনিক কিছু প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির করা সম্ভব। এছাড়া কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে বাজার ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। সার্বিকভাবে মিরপুর উপজেলার ঢেঁড়স চাষ কৃষি খাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি কৃষকদের জীবিকার ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়। তাই কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সঠিক নজরদারি ও একটু সহায়তা পরিবর্তন করে দিতে পারে জীবনের গতি এমনটি ধারণা করেন কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার হাজার হাজার কৃষকেরা। 

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম