কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়া পৌরসভার নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ইচ্ছেমতো গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক অবকাঠামো যা রীতিমতো কুষ্টিয়াবাসীর জন্য আতঙ্কের কারণ। এ যেন দেখার কেউ নেই, পৌর কর্তৃপক্ষকে বারংবার অবহিত করা হলেও এর কোন সঠিক সুরাহা হয় নি। কুষ্টিয়া - ঝিনাইদহ হাইওয়ে সড়কের পাশেই অবস্থিত শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর এবং বামপাশে আছে চারতলা বিশিষ্ট বিআরবি গ্রুপ অব কোম্পানির অভিযোগ কেন্দ্রের একটি বিল্ডিং কিন্তু দুই পাশেই কোনরকম জায়গা না রেখেই পাশের বিল্ডিং এর দেয়াল ঘেঁষে গড়ে তুলেছে নতুন শোরুম। নতুন তৈরিকৃত শোরুমের জায়গার মালিক মৃত বাবলু কন্টাক্টরের ছেলে নাহিদ। নাহিদের কাছে নতুন শোরুম তৈরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার জায়গায় অস্থায়ীভাবে টিনশেট যুক্ত অস্থায়ী নির্মাণ কাঠাম প্রস্তুত করেছি। আমার পুরো জায়গাতে আমি অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করেছি। এই অস্থায়ী নির্মাণ কাঠামো তৈরীর বিষয়ে কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোনরকম অনুমোদন নেয়া হয়নি। তবে পৌরসভার মধ্যে কোনরকম নির্মাণ কাঠামো তৈরি করতে হলে অবশ্যই পৌরসভা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হয় তা না হলে নির্মাণ কাঠামো অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জানা যায় এই বিষয়ে দৈনিক সরজমিন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর নাহিদের নিকট এই বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য নোটিশ প্রেরণ করা হয়। তবে এই বিষয়ে নাহিদ কোন যুক্তি উপস্থাপন করেন নাই। ওই জমির মালিক মৃত বাবলু কন্ট্রাক্টরের ছেলে নাহিদের কাছে পৌরসভা থেকে প্ল্যানিং পাশের কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন অস্থায়ী নির্মাণ কাঠামো প্রস্তুত করতে কোন প্লানিং এর প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়ে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ওয়াহিদুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌরসভার ভিতরে বিল্ডিং করার যে নিয়ম রয়েছে তাহলো, সামনে প্রধান রাস্তা থেকে কমপক্ষে ৫ ফিট ছাড়তে হবে এবং পাশে এক বিল্ডিং থেকে আরেক বিল্ডিং এর মাঝখানে কমপক্ষে ৩ ফিট ছাড়ার নিয়ম থাকলেও তা অনেকেই মানে না। তিনি আরো বলেন আমরা তাদেরকে বার বার সাবধান করে নোটিশ প্রেরণ করেছি। কিন্তু তারা সেই নোটিশের তোয়াক্কা না করে কোন জবাব দেন নাই। পৌরসভার প্রকৌশলী বলেন আমি তাদেরকে নোটিশ প্রেরণ করেছি যদি তারা যুক্তিযুক্ত জবাব না দেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের জায়গার বিল্ডিং এর নকশাসহ যাবতীয় কাগজপত্র দেখে কোন অনিয়ম থাকলে সরকারি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব। কুষ্টিয়া শহরের সুনাগরিকগণ বলেন একটা বিল্ডিং থেকে আরেকটা বিল্ডিং এর মাঝখানে যদি জায়গা না রাখা হয় তাহলে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিল্ডিংয়ে আলো বাতাসের দরকার আছে। বিশেষ করে ড্রেন নির্মাণের দরকার হতে পারে, বিল্ডিং এর কোন কাজের প্রয়োজন হলে মাঝখানে একটি মই রাখার দরকার হতে পারে। এভাবে চলতে থাকলে কুষ্টিয়া শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে। এটা থেকে প্রতিকার কি আদেও কোনদিন হবে। তাই সকলের সচেতনতা দূর করতে পারে এই ধরনের সমস্যা।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |