কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মো. মুনজুরুল ইসলাম

কুষ্টিয়া-০৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতা হাফেজ মো. মঈনউদ্দিনের নেতৃত্বে এক বিশাল মোটরসাইকেল শোডাউন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল থেকেই খোকসা ও কুমারখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মোটরসাইকেল, পিকআপ ও মাইক্রোবাস নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ উপজেলা সদরের বিভিন্ন প্রান্তে সমবেত হন। পরে বিশাল এই মোটরসাইকেল বহরটি খোকসা ও কুমারখালীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও গ্রামীণ এলাকায় প্রদক্ষিণ করে। শোডাউনের একপর্যায়ে মনোনয়নপ্রত্যাশী হাফেজ মো. মঈনউদ্দিন খোকসা বাসস্ট্যান্ড এবং কুমারখালী শহরে পথসভা করেন। পথসভায় তিনি এলাকার জনগণের কাছে দোয়া ও সমর্থন চান এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিএনপির অবস্থান ও কৃষক দলের ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা রাষ্ট্র মেরামতের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তৃণমূলের আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে।” এই কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন শোমসপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি বরুণ বিশ্বাস, উপজেলা কৃষক দলের সদস্য মো. জামাল শেখ, আনারুল ইসলাম, মো. আসাদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও খোকসা ও কুমারখালীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত সহস্রাধিক নেতাকর্মী এই শোডাউনে অংশ নেন। পরে জুলাই-আগস্ট মাসে নির্মমভাবে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেন হাফেজ মো. মঈনউদ্দিন। সেখানে তিনি আবরারের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এই শোডাউনকে ঘিরে এলাকায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অনুষ্ঠিত হলো একটি পদযাত্রা কর্মসূচি। এই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কারানির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা হাফেজ মঈন উদ্দিন। শুক্রবার  বিকেল ৪টার দিকে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র এবং নির্মমভাবে নিহত শহীদ আবরার ফাহাদ রাব্বির কুষ্টিয়ার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গা গ্রামে অবস্থিত কবর জিয়ারত করেন। কবর জিয়ারত শেষে সেখান থেকেই শুরু হয় “রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের দাবিতে পদযাত্রা” কর্মসূচি, যাতে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।পদযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হাফেজ মঈন উদ্দিন বলেন, “আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আজকের এই পদযাত্রার সূচনা করেছি। তাঁর আত্মত্যাগ আমাদের জন্য প্রেরণা। আমি শহীদ আবরারের দেখানো পথেই এগিয়ে যেতে চাই।” তিনি জানান, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগ্রহ রয়েছে তাঁর। বিএনপি যদি তাঁকে মনোনয়ন প্রদান করে, তাহলে এলাকার জনগণের সেবা ও রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারে তিনি কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাফেজ মঈন উদ্দিন বলেন, “২০১৯ সালে আবরার ফাহাদের হত্যাকাণ্ড শুধু একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুই নয়, তা ছিল জাতীয় রাজনীতিতে মোড় ঘোরানো একটি ঘটনা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে যে ছাত্রআন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তা আজও প্রাসঙ্গিক।” তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।” পদযাত্রা কর্মসূচি শেষে হাফেজ মঈন উদ্দিনের নিজ বাসভবনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শহীদ আবরার ফাহাদ, ৭০-এর দশকের জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদ এবং সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করা হয়। এই কর্মসূচিতে স্থানীয় বিএনপি, কৃষক দল ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।