কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়ার অন্যতম ব্যস্ত ও ঐতিহাসিক সড়ক নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক (এনএস রোড)। শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির অংশ হিসেবে এই সড়কে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে স্থাপন করা হয়েছিল ২৬৬টি সৌন্দর্যবর্ধক সড়কবাতি। একসময় আলো ঝলমলে শহরের এই সড়কজুড়ে নেমে এসেছিল স্বপ্নের মতো জ্যোৎস্না। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ও সহিংসতার পর ভেঙে পড়ে ১২টি বাতি। পরে বাকি বাতিগুলোও খুলে ফেলা হয়। বর্তমানে বাতিগুলো পড়ে রয়েছে পৌরসভার অন্ধকার গোডাউনে। বাতিগুলোর বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্পষ্ট কোনো জবাব দিতে পারছেন না। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ওয়াহিদুর রহমান জানান, “আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর বাতিগুলো খুলে সংরক্ষণে রাখা হয়েছে। সেগুলো এখন ব্যবহার অনুপযোগী।” তিনি আরও বলেন, “রাজশাহীর আদলে সৌন্দর্যবর্ধক বাতি স্থাপনের একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে, যার সম্ভাব্য ব্যয় ৬৫ লাখ টাকা। তবে অনুমোদনের ব্যাপারে নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।” পৌরসভার বিদ্যুৎ শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জামিউল বলেন, “তৎকালীন প্রশাসক শারমিন আখতার স্যারের নির্দেশে বাতিগুলো খুলে সংরক্ষণ করা হয়।” অবস্থা দেখে ক্ষুব্ধ শহরবাসী। তারা জানান, শুধু এনএস রোড নয়, শহরের অন্যান্য সড়কেও নিয়মিত সড়কবাতি নষ্ট হচ্ছে এবং প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে না। বর্ষাকালে বাতিগুলোর ত্রুটি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।কুষ্টিয়া পৌর নাগরিক অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামিম উল হাসান অপু বলেন, “আমরা বহুবার পৌরসভাকে জানিয়েছি। কিন্তু সমস্যা থেকে যায় একই জায়গায়। তারা বলে প্রতিস্থাপন করছে, কিন্তু বাস্তবে অগ্রগতি নেই।” বর্তমানে কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন মো. মিজানুর রহমান। তিনি জানান, “এই মুহূর্তে কুষ্টিয়ায় প্রায় ৮ হাজার সড়কবাতি আছে। এগুলো নষ্ট হলেই প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে গত এক বছরে কী পরিমাণ বাতি প্রতিস্থাপন হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে বলা সম্ভব নয়।” সৌন্দর্যবর্ধক বাতিগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, “আগের বাতিগুলো অকেজো হয়ে গেছে। নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ তা বাস্তবায়ন হবে, বলা যাচ্ছে না।”শহরের সৌন্দর্য ও নাগরিক নিরাপত্তা রক্ষায় সড়কবাতিগুলোর কার্যকারিতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছেন নাগরিকরা। তারা দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |