গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সব সংস্কার নির্বাচনের আগে সম্ভব নয়। সংবিধানের মৌলিক কাঠামোগত সংস্কার করতে হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি লাগবে। নির্বাচনের জন্য যেমন সংস্কার দরকার, তেমনি সংস্কারের জন্য নির্বাচন দরকার। যারা নির্বাচন ও সংস্কারকে পরস্পর বিরোধী অবস্থানে দাঁড় করাচ্ছেন তারা ভুল করছেন। নির্বাচন ও সংস্কার একই বিষয়। রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে চেতনা বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ২.০ সংস্কার এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠার দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে একটা নতুন যাত্রা এসেছে। এ যাত্রা সফল করতে হবে। আমরা যেন ব্যর্থ না হই। আমরা একটা সরকারের পতন করেছি। যে সরকারটা ফ্যাসিস্ট ছিল।জোনায়েদ সাকি বলেন, আমার একটা সরকারের পতন ঘটিয়েছি। যে সরকার একটা ফ্যাসিস্ট সরকার জারি করতে চেয়েছিল, অনেকটা সক্ষম হয়েছিল। গুম, খুন, অত্যাচার, নির্বিচার হত্যাকাণ্ড, বিরোধী মত দমন, নানাভাবে বিভাজন সৃষ্টি, নিষিদ্ধ করা, এসবগুলো তার অস্ত্র ছিল।‘১৭ বছর আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের সমস্ত অপরাধ, সেগুলোকে তারা মুছে দিতে চেয়েছে। বাকি সবার অপরাধকে তারা খুঁজে খুঁজে বের করছে। আমরা কি শুধু আওয়ামী লীগের অপরাধ খুঁজে খুঁজে বের করব, বাকিদের কোনো অপরাধ নেই? ন্যায়বিচার ছাড়া কোনো দেশ এগোতে পারে না।’ গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার শুধু গত ১৫ বছর হয়েছে তা নয়, আগেও হয়েছে, সেটা স্বীকার করতে হবে। অভ্যুত্থান হয়েছে, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে, যারা অভ্যুত্থানের শক্তি তারা নিজেরাও যেন বদলায়।‘গত পাঁচ মাসে যা দেখছি। ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে। ক্ষমতা প্রতিযোগিতা, জনগণের সম্মতি, জনগণের ভালোবাসা দিয়ে আপনাকে অর্জন করতে হবে। আগেভাগেই সব দখল করে নিতে চাইছেন, সেটা কোনো ক্ষমতার প্রতিযোগিতা না। আপনারা একই পথে হাঁটছেন। এসব ফ্যাসিবাদের বদলে গণতন্ত্রের পথে যেতে পারব কি না সেই প্রশ্ন জাগাচ্ছে।’জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, এ অভ্যুত্থান সকলের মধ্য দিয়ে হয়েছে। ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা আমরা স্বীকার করি। বাংলাদেশের যে ঐক্য, সেটা ধরে রাখা দরকার। এখানে কেউ একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কারো সিদ্ধান্ত কারো ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না। এটার পদ্ধতিগত পথ হবে সমঝোতা। তিনি বলেন, এখন আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে কোন কোন সংস্কার নির্বাচনের আগে করা যাবে, সেটা করতে কতদিন সময় লাগবে, তার মধ্য দিয়ে নির্বাচন কোন মাসে কোন তারিখে হবে। এই পুরো রোডম্যাপটি আগামী কিছুদিনের ভেতর তৈরি করা সম্ভব।আমাদের সংবিধান সংশোধন কি পঞ্চদশ, ত্রয়োদশ, সংশোধনীর মতো হবে? যেটাকে আদালত বাতিল করে দেবেন? সেই রকম ব্যবস্থা যাতে না হয়, আগামী নির্বাচন হওয়া উচিত সংবিধান সংস্কার নির্বাচন। সংস্কার হতে হবে জনগণের সম্মতির ভিত্তিতে। সেই জায়গায় আগামী নির্বাচন হওয়া দরকার।’চেতনা বাংলাদেশের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার ফয়সাল সালামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ প্রধান, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) মহাসচিব মোমিনুল আমিন, গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি প্রমুখ।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |