| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতা আবশ্যক

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 13-02-2025 ইং
  • 76662 বার পঠিত
১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে  জনসচেতনতা আবশ্যক
ছবির ক্যাপশন: ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে গণসচেতনতা অতি প্রয়োজন

 ডাঃ আব্দুল আহাদ আকাশ

ভালোবাসা দিবস উল্লেখ্য করে ১৪ই ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে দিনটি উদযাপন করা হয় । এই ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন রকম মত রয়েছে ।

১৪ই ফেব্রুয়ারির সূচনা দিক জানতে গেলে পূর্বের জঘন্যতম ইতিহাস বেরিয়ে আসে । আমাদের আলোচনা বিষয় সেটা নয় । 

১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সারা বিশ্বে যেই অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, যৌনতা, যেনা ব্যভিচার ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে সেটা ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নাজায়েজ । 

ইসলাম কখনো ১৪ ফেব্রুয়ারির এই ভালোবাসা দিবসকে সাপোর্ট করে না । ১৪ই ফেব্রুয়ারি হল বিশ্ব বেহায়াপনা দিবস । 

আমরা মুসলিম হিসেবে ১৪ই ফেব্রুয়ারি উদযাপন থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকতে হবে । 

পূর্বের ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় একশ্রেণীর মানুষ বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে করে সারা বিশ্বের মানুষের মাঝে অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়িয়ে দিচ্ছে ।

১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালবাসা দিবস উদযাপন করে বেশিরভাগ যুবক যুবতী । এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালনের জন্য আজ আমাদের সমাজটা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে । যুবকদের এবং যুবতীদের মধ্যে কোনটা অন্যায় কোনটা ভালো সেই বোধশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে । এবং এই বেহায়াপনা যেনা ব্যভিচার ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য শয়তান তার মত করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।


অশ্লীলতা আর বেহায়াপনা নিয়ে আল্লাহ তা'আলা এরশাদ করেন : যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য রহিয়াছে দুনিয়া ও আখেরাতের মর্মদন্ত শাস্তি আল্লাহ জানেন তোমরা জানো না । 

অর্থাৎ, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এখানে বোঝাতে চেয়েছেন যে যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতা বেহায়াপনা যৌনতা যেনা ব্যাভিচার মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই তাদের জন্য দুনিয়াতে ও আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি ।


আল্লাহতালা আরও এরশাদ করেন : হে মুমিনগণ ! তোমরা শয়তানের পদাংক অনুসরণ করো না , কেহ শয়তানের পদাংক অনুসরণ করলে শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় । 

উক্ত আয়াতে মুমিনদেরকে আল্লাহতালা উদ্দেশ্য করে বলেন , তোমরা শয়তানের পথ অনুসরণ করো না কেননা শয়তান সবসময়ই অশ্লীলতা মন্দ কাজের নির্দেশ দেয় । আর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন অশ্লীলতা ও মন্দ কাজ পছন্দ করেন না । যদি আমরা অশ্লীলতা ও মন্দ কাজকে প্রশ্রয় দেই সে কাজগুলো যদি আমরা করি তাহলে আল্লাহ তায়ালার নির্দেশ অমান্য করা হলো যার জন্য রয়েছে আখিয়াতে কঠিন শাস্তি ।


আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমের আরেকটা আয়াতে এরশাদ করেন : দুশ্চরিত্রা নারী দুশ্চচরিত্র পুরুষের জন্য দুশ্চরিত্র পুরুষ দুশ্চরিত্র নারীর  জন্য , সৎচরিত্রা নারী সৎচরিত্র পুরুষের জন্য  সৎচরিত্র পুরুষ সৎচরিত্রা নারীর জন্য  । 

উক্ত আয়াত লক্ষ্য করলে আমরা বুঝতে পারি আল্লাহতালা বোঝাতে চেয়েছেন যে আমি যদি দুনিয়াতে সৎ থাকি কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক চলে আমার স্ত্রী ঠিক আমারই মত সৎ চরিত্র হবেন । অথবা আমি যদি দুনিয়াতে অশ্লীল অন্যায় , যেনা ব্যভিচারের কাজে লিপ্ত থাকি তাহলে আমার স্ত্রীও ঠিক একই রকম হবে ।  

এজন্য আমাদেরকে দুনিয়াতে আল্লাহর এবং আল্লাহর রাসূলের দেখানোর পথ অনুসরণ করে চলতে হবে, শয়তানের পথে চলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব । 


আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অন্য আরেকটি আয়াতে এরশাদ করেন: মুমিনদেরকে বল তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করেন । 

আমরা মমিন-মুসলমান আমাদের সকলের দায়িত্ব নিজেদের দৃষ্টিকে সংযত রাখা এবং নিজেদের লজ্জাস্থানকে হেফাজত করা । 

আমরা যদি পশ্চিমাদের অনুসরণ করে ১৪ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নিজেদের লজ্জাস্থানকে বিলিয়ে দেই এবং অশ্লীলতা বেহায়াপনার কাজকে প্রসার করার জন্য সহযোগিতা করি তাহলে কিন্তু আমাদের জন্য পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি । 

মুসলমানদের জন্য ভালবাসতে নির্দিষ্ট কোন দিনের প্রয়োজন হয় না ।  চব্বিশটা ঘন্টার প্রত্যেকটা সেকেন্ড আমাদের জন্য ভালোবাসা । 


আমরা যদি কাউকে ভালোবাসে তাহলে আল্লাহতালার জন্যই তাকে ভালোবাসবো আর যদি কাউকে ঘৃণা করি তাহলে আল্লাহতালার জন্যই তাকে ঘৃণা করব ।


যেখানে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন অশ্লীলতা বেহায়াপনা যেনা ব্যভিচার থেকে দূরে থাকার তাহলে কেন আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারি নিয়ে এত মাতামাতি করব ।

আমাদের তো এমন নয় যে আমরা আমাদের পরিবারকে একদিন ভালোবাসবো অন্যদিন ঘৃণা করবো ।  না এমনটা কেন করব ? আমাদের জন্য সব সময় তাদের জন্য ভালোবাসা আন্তরিকতা থাকবে ।


আর যারা ১৪ই ফেব্রুয়ারির নামে অশ্লীলতার প্রসার ঘটাতে চাই তারা আল্লাহতায়ালার দৃষ্টিতে সীমালংঘনকারী । 

যিনি আমাদেরকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন আমরা তারই ইবাদত করব শয়তানের পথ যেন আমরা অনুসরণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ভেতরে অন্তর্ভুক্ত না হয় ।

তাই আসুন আমরা এগিয়ে আসি আমরা ১৪ ই ফেব্রুয়ারি কে না বলি । 

আমরা নিজেরা সচেতন হয় এবং আমাদের পরিবার পরিজনকে সচেতন করার চেষ্টা করি । আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকলে ইনশাল্লাহ আস্তে আস্তে গোটা সমাজটাই পরিবর্তন হয়ে যাবে । ধীরে ধীরে অশ্লীলতা বেহায়াপনা এই সমাজ থেকে বিতাড়িত হবে ।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম