| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

ধর্মপাশায় পরিত্যক্ত জমিতে চালকুমড়া চাষ, ফলনে খুশি চাষিরা

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 14-02-2025 ইং
  • 28332 বার পঠিত
ধর্মপাশায় পরিত্যক্ত জমিতে চালকুমড়া চাষ, ফলনে খুশি চাষিরা
ছবির ক্যাপশন: ধর্মপাশায় পরিত্যক্ত জমিতে চালকুমড়া চাষ, ফলনে খুশি চাষিরা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরের পরিত্যক্ত জমিতে আগাম জাতের চালকুমড়া চাষ করা হয়েছে। উপজেলার হলদির হাওরের ২২০ কাঠা ওই পরিত্যক্ত জমিতে কুমড়া চাষ করে ১২ জন চাষি সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। মৌসুম শুরুর আগেই চালকুমড়া বাজারজাত করতে পারায় দামও মিলছে বেশি। চাষিরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আগাম চালকুমড়া চাষে তাঁদের দ্বিগুণ লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় হাওরের প্রধান ফসল ধান। এ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ৩১ হাজার ৫৪২ হেক্টর চাষাবাদযোগ্য জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৫০০ হেক্টর জমি চার থেকে পাঁচ বছর আগেও পরিত্যক্ত ছিল। উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে পরিত্যক্ত জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টার আবাদ শুরু করেন চাষিরা। ৫০০ হেক্টর পরিত্যক্ত জমির মধ্যে ৩৫০ হেক্টর জমিতে সবজি, শর্ষে ও ভুট্টা চাষের আওতায় আনা হয়েছে। উপজেলার হলদির হাওরে ৮০ হেক্টর পরিত্যক্ত জমি ছিল। এর মধ্যে ৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো, শর্ষে চাষের পাশাপাশি ৭ দশমিক ১২ হেক্টর (২২০ কাঠা) জমিতে প্রথমবারের মতো চালকুমড়া চাষ করা হয়েছে। ধর্মপাশায় অতীতে এর আগে বাণিজ্যিকভাবে চালকুমড়া চাষ করা হয়নি। নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের কৃষক রঙ্গু মিয়া। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে নিজেদের পাঁচ কাঠা জমিতে প্রথমবারের মতো তিনি চালকুমড়া চাষ করেন। সব মিলিয়ে ৪৫ হাজার টাকা খরচ করেন।  চালকুমড়া বিক্রি হয় ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার। একই ইউনিয়নের জাওয়াইল গ্রামের কৃষক আলাল মিয়া। তিনি নিজেদের ৫০ শতক জমিতে চালকুমড়া চাষ করেন। এতে খরচ হয় ৮০ হাজার টাকা। তিনি ২ লাখ ২০ হাজার টাকার চালকুমড়া বিক্রি করেন। শুরুর দিকে প্রতিটি বীজ দুই টাকা করে সংগ্রহ করেছিলেন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের এক কৃষকের কাছ থেকে। পরে নিজেরাই বীজ সংগ্রহ শুরু করেন। চালকুমড়া চাষ লাভজনক হওয়ায় তাঁরা নিজ নিজ এলাকায় এত দিন চালকুমড়া চাষ করছিলেন। কিন্তু সেখানে প্রতি কাঠা জমি আট মাসের জন্য বর্গা নিতে হয় দুই থেকে তিন হাজার টাকায়। তাই কম টাকায় বর্গা নেওয়া যাবে এমন জমি খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা।

সন্ধান পান ধর্মপাশার হওদির হাওরে থাকা পরিত্যক্ত জমির। হলদির হাওরপাড়ের ১২ জন কৃষকের কাছ থেকে আশ্বিন মাস (অক্টোবর) থেকে বৈশাখ (এপ্রিল) মাস পর্যন্ত প্রতি কাঠা পতিত জমি এক হাজার টাকা করে রঙ্গু মিয়া তাঁর সঙ্গে আরও চারজন কৃষককে যুক্ত করে ৭০ কাঠা এবং আলাল মিয়া তাঁর সঙ্গে আরও পাঁচজন কৃষককে যুক্ত করে ১৫০ কাঠা জমি বর্গা নেন।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম