কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবিতে, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবিতে, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষাণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবীতে বিএনপি কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি উপলক্ষে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ ১৭ বছর পর কুষ্টিয়ায় বিএনপি’র সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে নিয়ে এ সভার অয়োজন করা হয়। এতে চাঙ্গা হয়ে উঠছে বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামো ।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩ টার সময় হাউজিং এস্টেট নিশান মোড়, একতা মাঠ, কুষ্টিয়া সদর, কুষ্টিয়ায় জনাব কুতুব উদ্দিন আহমেদ অহবায়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কুষ্টিয়া জেলা। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনাব কুতুবউদ্দিন আহমেদ - আহব্বায়ক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ও সাবেক মেয়র রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনাব মুক্তিযুদ্ধো সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী - সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য। জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সাবেক এমপি, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় বিএনপি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি। রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা - সাবেক এমপি, সদস্য বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি। ফরিদা ইয়াসমিন - সদস্য বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি। ব্যারিষ্টার রাগীব চৌধুরী - সদস্য বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি। অ্যাডভোকেট মুহা. তৌহিদুল ইসলাম আলম - যুগ্ন আহবায়ক কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও সাধারণ সম্পাদক ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি। জনাব আব্দুল মাজেদ - সদস্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), কুষ্টিয় জেলা। আলহাজ্ব মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, সদস্য সচিব, সদর উপজেলা বিএনপি ও সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি। জনাব মোঃ বশিরুল আলম চাঁদ, সদর উপজেলা পৌর বিএনপির সভাপতি।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন জিহাদুজ্জামান জিকু, সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক,কুষ্টিয়া জেলা যুবদল। জিল্লুর রহমান জনি - সাবেক সহ সমন্বয়ক কুষ্টিয়া জেলা যুবদল। মোঃ আজাদুর রহমান আজাদ বিশ্বাস - সাবেক সভাপতি মিরপুর উপজেলা যুবদল। মোঃ সাদ আহম্মেদ, জাহিদুল ইসলাম বিপ্লব, আব্দুল হাকিম মাসুদ, আবু তালেব, আসাদুজ্জামান শিপন, এমদাদুল হক ইমতিয়াজ,জিল্লুর রহমান, নিলুফা আক্তার টুকটুকি, রোকসানা পারভিন, রজি খান, কুমকুম রহমান, সাইফুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন, ফুয়াদ রেজা, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোহাম্মদ - জেলা বিএনপির সদস্য। আবু তালেব - জেলা বিএনপির সদস্য। বিল্পব হোসেন - জেলা বিএনপির সদস্য। জনাব মোঃ আলতাফ হোসেন - দৌলতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। জনাব মোঃ শহীদ সরকার মন্ডল - দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সচিব। জনাব মোঃ নুরুজ্জামান হাবলু মোল্লা- দৌলতপুর থানা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা। মোঃ আবিদ হাসান মন্টি সরকার - যুগ্ন আহবায়ক। জনাব মোঃ আলাউদ্দিন বাদল - থানা বিএনপির সদস্য। জনাব মোঃ সামিউল্লাহ খান সেন্টু - থানা বিএনপির অন্যতম সদস্য। জনাব মোঃ মনিরুল ইসলাম মুনতাজ - সাবেক থানা ছাত্রদলের সভাপতি, জয়নাল আবেদীন সাজু, হাজী আনিস, হাজী আহসানউল্লাহ, আশরাফ হোসেন নয়ন, বাবু দাদা রাইচ, আকতার,মুজাফফর, শফিকুলসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন,যত দ্রুত সম্ভাব নির্বাচন দিতে হবে, নির্বাচন ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের অবৈধ শাসনামলে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে শতশত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের বাড়ি-ঘরে থাকতে দেয়নি আওয়ামী জুলুমবাজরা। তবে হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়েও নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙতে পারেনি অবৈধ শাসকগোষ্ঠী। তারা জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং দলের অভ্যন্তরীণ সংহতি বজায় রাখার আহ্বান জানান। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন নেতারা।
প্রধান অতিথি বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্টদের সহযোগীরা এখন প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে রয়েছে। যারা ৫ আগস্টের পরিবর্তনকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেনি এমন লোকদেরকে চিহ্নিত করতে না পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষে সফল হওয়া কঠিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা উল্লেখ করেন, তারেক রহমান বলেছেন,অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল পদক্ষেপ সবার কাছে সফল হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে কিন্তু এই সরকারের ব্যর্থতা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তির ব্যর্থতা হবে । এ কারণে বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাফল্য দেখতে চায়। কিন্তু সরকার নিজেদেরকে সাফল্য দেখতে চায় কিনা এটিও ভাববার বিষয় রয়েছে। সরকারের ‘কর্মপরিকল্পনার রোডম্যাপে’ কম গুরুত্তপূর্ণ ইস্যু, তাই জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া জরুরী।