কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :
কুষ্টিয়ার বিভিন্ন ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, জরিমানা ও ভাংচুরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। বিক্ষোভ মিছিলে সারা জেলায় কর্মরত ২০ হাজারের অধিক ইটভাটা শ্রমিক ও ভাটা মালিকরা অংশ গ্রহন করেন। কুষ্টিয়া জেলার ০৬টি উপজেলার ইট প্রস্তুত যন্ত্রপাতি ও শ্রমিকবৃন্দ। চলতি ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইট প্রস্তুত করার জন্য শ্রমিকদের অগ্রিম টাকাসহ সরকারি বিধি মোতাবেক ট্রেড লাইসেন্স, বাণিজ্যিক কর, আয়কর ও ভ্যাট পরিশোধ করে ইটভাটার ব্যবসা পরিচালনা করছে। এছাড়াও ইটভাটা বন্ধের বিরুদ্ধে ইট প্রস্তুতকারী মালিকগণ মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৬০৪৭, ১৬০৪৮, ১৬০৪৯, ১৬০৫০, ২০০৫১, ১৬০৫২, ১৬০৫৩/২০২৪ এর প্রেক্ষিতে গত ০৪/০৩/২০২৫ তারিখে রিট পিটিশন দাখিল করেছে যা শুনানী চলমান রয়েছে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের পিটিশন নম্বর- ১৩৭০৫/২০২২ এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯/০১/২০০৫ তারিখে প্রদত্ত ২৪/০২/২০২৫ তারিখে নির্দেশনা অনুযায়ী গত ০৫/০৩/২০২৫ তারিখ হতে কয়েক দিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী মা জস্ট্রেটগণ ০৬টি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে সকল ইটভাটা জেলা প্রশাসক, কুষ্টিয়ার নির্দেশে বন্ধ করে সাইনবোর্ড স্থাপন জছে। আমাদের সমিতির অন্তর্ভূক্ত কুষ্টিয়া জেলায় ১০৬টি ইটভাটায় প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে। তাদের আয়ে প্রায় ২ ৫০ হাজার মানুষ জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে। আমরা অতীব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বিগত শেখ হাসিনার সরকারের আমলে তীয় শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্তে থাকা ২০১৩ ও ২০১৯ সালের কালো আইন করে এই শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছিল। তাবস্থায় ইটভাটা বন্ধ হলে ইটভাটা মালিকগণ ব্যাংকের ঋণসহ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হবে অন্যদিকে শ্রমিকগণ পবিত্র মাহে জান মাসে অভাব অনটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করবে। ২০১৩ সালে কালো আইন অনুযায়ী ইটভাটা ২৬ করা হলে দেশে সরকারি, বেসরকারি সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে দেশের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এছাড়াও দেশে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অপরাধ বেড়ে যাবে। উপরোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনা পূর্বক মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১৬০৪৭, ১৬০৪৮,১০০৪৯, ১৬০৫০, ১৬০৫১, ১৬০৫২, ১৬০৫৩/২০২৪ এর প্রেক্ষিতে গত ০৪/০৩/২০২৫ তারিখের রিট পিটিশন দাখিল করেছি যা শুনানী শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলতি মৌসুমে যেনো কোনো ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ ইটভাটা বন্ধ না করে বিগত সরকারের কালো আইন বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকগণ নিজেদের সম্পদ ও জীবন বাঁচাতে আন্দোলনের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |