| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

ঝিঙে লাভজনক সবজি কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 12-05-2025 ইং
  • 31760 বার পঠিত
ঝিঙে লাভজনক সবজি কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা
ছবির ক্যাপশন: ঝিঙে লাভজনক সবজি কৃষকদের নতুন সম্ভাবনা

একে এম নাজমুল আলম 

ঝিঙে বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় গ্রীষ্মকালীন সবজি, যা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে চাষ হয়।  এর চাষে খরচ কম, রোগবালাই কম এবং বাজারে চাহিদা বেশি হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে ঝিঙে চাষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বপনের সময় ফেব্রুয়ারি-মার্চ (মাঘ-চৈত্র) মাসে বীজ বপনের উপযুক্ত সময়। মাটি ও জলবায়ু: উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়া এবং প্রচুর সূর্যালোক থাকে এমন এলাকা ঝিঙে চাষের জন্য উত্তম।  সুনিষ্কাশিত উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ দোঁআশ মাটি ঝিঙার সফল চাষের জন্য উপযুক্ত। বীজের হার: হেক্টর প্রতি ৩-৪ কেজি বা শতাংশ প্রতি ১২-১৫ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়। সার ব্যবস্থাপনা: প্রতি শতক জমিতে ৪০ কেজি গোবর সার, ৮০০ গ্রাম ইউরিয়া, ৪০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৬০০ গ্রাম এমওপি প্রয়োগ করা হয়। সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ: শুষ্ক মৌসুমে ৬-৭ দিন অন্তর সেচ দিতে হয় এবং নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হয়। সঠিক পরিচর্যায় প্রতি হেক্টরে ১০-১৫ টন ঝিঙা উৎপাদন সম্ভব। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা জমিতে ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ করে ৭০-৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা যায়। পাতা ছিদ্রকারী পোকা: পাতার সবুজ অংশ খেয়ে ছিদ্র করে।  দমন করতে লরেন্ট ৫এসজি কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। ফলের মাছি পোকা: ফলের নিচে ডিম পাড়ে, ফলে পচন ধরে।  দমন করতে টোপাম্যাক ৭০ ডব্লিউ জি ব্যবহার করা হয়। ডাউনি মিলডিউ: পাতায় সাদা বা হলদে দাগ দেখা যায়।  দমন করতে ট্রয় ৬৩.৫ এসসি ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করা হয়। ঝিঙে চাষে সফল হতে চাইলে সঠিক চাষ পদ্ধতি অনুসরণ, সময়মতো সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ, এবং রোগবালাই প্রতিরোধে সতর্ক থাকা গুরুত্বপূর্ণ।  স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ ও সহায়তা গ্রহণ করলে ফলন বৃদ্ধি পাবে। ঝিঙে চাষে আগ্রহী কৃষকদের জন্য এটি একটি লাভজনক ও টেকসই কৃষি উদ্যোগ হতে পারে, যা পুষ্টি ও অর্থনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম