লেখক কবি আলো ওয়াহিদ,

ভালোবাসা তখনই পূর্ণতা পায়, যখন তা হয় নিখাঁদ ও নিঃস্বার্থ। আর একজন প্রকৃত পুরুষের ভালোবাসা ঠিক তেমনি—যেখানে দায়িত্ব, সম্মান, যত্ন আর গভীর আবেগ মিলেমিশে এক অপূর্ব রূপ ধারণ করে। একজন সত্যিকারের পুরুষ যখন ভালোবাসে, তখন সে শুধুমাত্র একজন নারীকে চায় না—সে তার সমস্তটা দিয়ে অনুভব করে সেই মানুষটিকে। সে জানে তার প্রিয় মানুষটির পায়ের পাতায় হিল জুতোর চাপে কেমন ব্যথা হচ্ছে, হাঁটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে কিনা। তার চোখে পড়ে মুখের ছোট্ট একটি ব্রণও, কারণ সেই অল্পটুকু অস্বস্তিও তার নিজের মনে কষ্টের রেখা ফেলে। এমনকি সে ভালোবেসে চেনে প্রিয়তমার চুলের সুবাস, তার শরীরের গন্ধ, হাসির শব্দ—সবকিছু। সে ব্যস্ত থাকে হয়তো শত কাজের মাঝে, তবুও তার সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি থাকে সেই একজনের জন্য। দিনের শেষে সে জেনে নেয়—তুমি ঠিকমতো খেয়েছো কিনা, রাতে ঘুম হয়েছে কিনা, মনের ভেতর কোনো চাপা কষ্ট কাজ করছে কিনা। এসব কিছু বলার আগেই বুঝে ফেলে, কারণ তার মন তোমার মনের ভাষা বোঝে। সে কখনো তোমার চাওয়া-পাওয়াকে হালকাভাবে নেয় না। তুমি কিছু না বললেও, সে তোমার প্রতিটি ইচ্ছা বোঝার চেষ্টা করে। ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলোতে তোমার অস্তিত্ব থাকে অবিচ্ছেদ্য। সে চায়, জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে তুমি থাকো তার ডান পাশে, বুকের সবচেয়ে নিরাপদ স্থানে।তার ভালোবাসায় অজুহাতের জায়গা নেই। কারণ একজন প্রকৃত পুরুষ জানে, ভালোবাসা মানে কেবল কথা নয়—বরং কাজ, দায়িত্ব আর প্রতিশ্রুতির সমন্বয়। সে যখন ভালোবাসে, তখন সমাজ-পরিবার, বন্ধু-বান্ধব—সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে আপনাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। তার কাছে তুমি কেবল একজন নারী নও, তুমি তার পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান ফুল, যার যত্নে সে কোনো ত্রুটি রাখে না। ভালোবাসা এমনই এক অনুভূতি—যা হতে হবে একান্ত, একচেটিয়া। এমনভাবে ভালোবাসতে হবে, যেন কারো দখল বা হস্তক্ষেপ সেখানে জায়গা না পায়। ভালোবাসাটাই এমন হোক, যেখানে বুক চিতিয়ে বলা যায়,"তোমাকেই আমি ভালোবাসি, আমার পৃথিবীতে তোমাকে ছাড়া কিছুই সম্পূর্ণ নয়।"