কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মো. মনজুরুল ইসলাম
যুবককে পিটিয়ে হত্যার ১৬ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত হন ও ১৪ আসামি খালাস পায়। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বেগুনবাড়ীয়া গ্রামের মাবুদ মণ্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন (৪৩) ও মৃত আমজাদ মণ্ডলের ছেলে আমিন উদ্দিন (৫৭)। রায় ঘোষণার সময় আমিন উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। অপর আসামি ফারুক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী যুবক মিন্টুর বিরুদ্ধে টিউবওয়েলের হাতল চুরির অভিযোগ তোলেন আসামিরা। এর জেরে ২০০৯ সালের ৭ জানুয়ারি রাতে মিন্টুকে ধরে একটি ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে যায় এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিন্টুকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন তিনি মারা যান। এ ঘটনার একদিন পর নিহত মিন্টুর বাবা মন্টু দৌলতপুর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলমগীর কবীর তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ মে দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে আদালত ১৪ জনকে খালাস এবং দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) খন্দকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিবেশী যুবক মিন্টুকে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আমিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর আসামি ফারুক পলাতক রয়েছে। এ মামলার ১৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।