একেএম নাজমুল আলম
বর্ষাকাল মানেই সবুজ শাক-সবজির ভরপুর মৌসুম। এর মধ্যে ঢেঁড়স অন্যতম একটি জনপ্রিয় সবজি, যা শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, বরং পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং কৃষকদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি ফসলও বটে। ঢেঁড়স একদিকে যেমন সস্তা ও সহজলভ্য, অন্যদিকে এতে রয়েছে— উচ্চমাত্রার আঁশ (fiber) ভিটামিন ‘সি’, ‘কে’, ‘বি-৬’ ফোলেট, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, হজমে সহায়ক এবং রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করা হয়। চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে বপন করলে শ্রেষ্ঠ ফলন পাওয়া যায়। মাটি ও আবহাওয়া: উঁচু জমি, দোআঁশ বা বেলে দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো। সুনিষ্কাশিত মাটিতে ঢেঁড়স ভালো জন্মে। ২-৩ ফুট দূরত্বে সারি করে বপন করা হয়। বপনের আগে বীজ ভিজিয়ে রাখলে দ্রুত অঙ্কুরোদগম হয়। সার ব্যবহার: গারো সারের পাশাপাশি ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সঠিকভাবে প্রয়োগ করতে হয়।পোকা-মাকড়: ফল ছিদ্রকারী পোকা, লাল মাকড়।পাতা ঝলসানো, ডাউনি মিলডিউ, পাউডারি মিলডিউ।অনুমোদিত কীটনাশক বা জৈব বালাইনাশক এবং শাকসবজির জন্য নিরাপদ ছত্রাকনাশক ব্যবহারের পরামর্শ কৃষি বিভাগের। প্রতিটি গাছে গড়ে ২০-৩০টি ঢেঁড়স ধরে। প্রতি একরে গড়ে ৮-১০ টন পর্যন্ত ফলন হয়। বাজারে ঢেঁড়সের দাম মৌসুম অনুযায়ী ২৫-৫০ টাকা প্রতি কেজি। মো. হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলার একজন ঢেঁড়স চাষি বলেন, "আমি মাত্র ১০ শতক জমিতে ঢেঁড়স চাষ করি। গত ১৫ দিনে প্রায় ৮ হাজার টাকার ঢেঁড়স বিক্রি করেছি। নিয়মিত তোলা যায় বলেই আয়ও নিয়মিত হয় বর্ষাকালে ঢেঁড়সের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। কারণ এই সময় অনেক সবজির উৎপাদন কমে গেলেও ঢেঁড়স ভালোভাবে জন্মাতে থাকে। শহরাঞ্চলে ঢেঁড়স রান্নায় বহুল ব্যবহৃত সবজি হওয়ায় বাজারে চাহিদা বেশি। ঢেঁড়স চাষ বাংলাদেশের কৃষকদের জন্য একটি লাভজনক উদ্যোগ হয়ে উঠছে। অল্প খরচে এবং অল্প জায়গায় নিয়মিত ফলন ও বিক্রয়যোগ্য সবজি হিসেবে ঢেঁড়স চাষে আরও অধিক কৃষককে উৎসাহিত করতে হবে। কৃষি বিভাগ চাইলে এর উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে পারে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |