| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 29-06-2025 ইং
  • 10451 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান
ছবির ক্যাপশন: কুষ্টিয়ায় গড়াই নদীর চরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে প্রশাসনের অভিযান

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : মোঃ মুনজুরুল ইসলাম 

কুষ্টিয়ার প্রাণ গড়াই নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে শনিবার, ২৮ জুন দিনব্যাপী এক জোরালো উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে প্রশাসন। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুষ্টিয়া জেলা শাখার সহযোগিতায় এই অভিযান পরিচালিত হয়। মোঃ রাশিদুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী (পুর) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, কুষ্টিয়া। তার মাধ্যমে  জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই গড়াই নদীর বিভিন্ন চর দখল করে গড়ে তোলা হচ্ছিল অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা, যা নদীর স্বাভাবিক গতিপথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এতে নদীর পরিবেশগত ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছিল, তেমনি হুমকির মুখে পড়ছিল আশেপাশের কৃষিজমি ও বসতভিটা। কুষ্টিয়া হরিপুর সেতু থেকে শুরু করে কুষ্টিয়া রবীন্দ্র লালন উদ্যান পর্যন্ত, গড়াই নদীর মধ্যে অবস্থিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের একটি চৌকস দল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি সহায়তা ও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে একাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নদীর স্বাভাবিক রূপ ফিরিয়ে আনতে এবং ভবিষ্যতে পানি প্রবাহে বাধা না আসে তা নিশ্চিত করতে এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় জনগণ প্রশাসনের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, “গড়াই নদী আমাদের প্রাণ। এই নদীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে দখলদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।” প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এবং পরিবেশ রক্ষায় এ ধরনের কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। গড়াইয়ের পানি প্রবাহের সঙ্গেই জড়িয়ে আছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৪ জেলার মানুষের ভালোমন্দ। তাদের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হয় গড়াইয়ের ওপর। একটু বলে রাখা দরকার, ১৯৫৪ সালে কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে সেচ সুবিধা ও বন্যা থেকে ফসল ও জনপদ রক্ষার জন্য গঙ্গা কপোতাক্ষ পরিকল্পনা (জিকে) সেচ প্রকল্প নামে কার্যক্রম চালু হয়। জাতিসংঘের সহযোগিতায় চালু হওয়া সে প্রকল্পের আওতায় ফসল উৎপাদন বেড়ে যায় প্রায় তিনগুণ। এ প্রকল্পের মূল উৎস ছিল গড়াই। গড়াই নাব্য সংকটে থাকায় উৎসমুখের কাছে ভেড়ামারাতে পাম্প হাউস স্থাপন করে এ প্রকল্প টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়েছিল, তাও রক্ষা হয়নি। গড়াই শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশের ওপরও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। অভিযান শেষে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, “নদী দখলমুক্ত রাখতে আমাদের অবস্থান কঠোর। প্রয়োজনে আরও বড় পরিসরে অভিযান চালানো হবে।”এই অভিযানে গড়াই নদীর অনেকাংশ পুনরুদ্ধার হওয়ায় প্রশাসন ও পরিবেশবাদীদের মাঝে সন্তোষ বিরাজ করছে। নদীর প্রাণ ফিরিয়ে আনতেই এমন উদ্যোগ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম