কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পাঁচ রাস্তার মোড়ে তাবলীগ জামাতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত হন। কুষ্টিয়া চার রাস্তার মোড় হতে মজুমপুর পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করেন। এ সময় বক্তারা বক্তব্য রাখেন টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে গভীর রাতে উগ্র সন্ত্রাসী সাদ পন্থীদের অতর্কিত হামলায় ৪ জন শহীদ, অসংখ্য আহত, নিখোঁজদের প্রতিবাদ এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার, শান্তি ও সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে জেলা প্রশাসক কুষ্টিয়ার নিকট স্মারক লিপি প্রদান করেণ।সভাপতি মুফতি আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। তারা উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রফিকুল ইসলাম নদভী উলামা পরিষদ কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া মারকাজ মসজিদ তাবলীগের সাথীগন মাওলানা রফিকুল ইসলাম সাহেব, মাওলানা ওমর ফারুক সাহেব, মুফতি ইলিয়াস সাহেব, হাজী আজিমুদ্দিন সাহেব, মীর হাবিবুল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল হক সাহেব, নুরুল ইসলাম রাজু, শাহিন আহমেদ, ফয়জুল কবির বিপ্লব, মাওলানা আব্দুল মান্নান, মুফতি আবু সাঈদ, মাওলানা শামসুল হক, প্রফেসর শামীম, আব্দুল হাফিজ, মাসুদ আহমেদ, মাওলানা আব্দুল খালেক সাহেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) গভীর রাতে ঢাকার টঙ্গী ইজতেমার ময়দানে বিতর্কিত মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা উলামায়ে কেরাম সমর্থিত তাবলিগের ঘুমন্ত সাথীদের উপর অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা, নির্মম হত্যাকাণ্ড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা মারপিট, খুন ও জখমের ভয়াবহ চিত্র দেশবাসীর সামনে পরিষ্কার হয়েছে। ইতিপূর্বেও ২০১৮ সালের ১লা ডিসেম্বরেও তারা এরকম হত্যাকান্ড ঘটিয়েছিল। এর থেকে প্রতীয়মান হয় যে, তারা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই সাদ পন্থিরা আমাদের ধারনা মতে ভারতের "র" এর এজেন্ট কর্তৃক পরিচালিত হচ্ছে। তারা দেশকে অস্তিশীল করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে বা যাবে। দেশকে ষড়যন্ত্র মুক্ত করতে হলে তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে এবং তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করার ব্যবস্থ্য করতে হবে। সাথে সাথে মাওঃ সাদ কান্ধলভী এর দৃষ্টি ভঙ্গি ও চিন্তাধারাগুলো বিগত প্রায় বিশ বছর ধরে তার বিভিন্ন বয়ানে উঠে আসছিল। তার আসাতিযায়ে কেরাম, উলামায়ে দ্বীন ও তাবলিগের পুরানো সাথীরা তাদের ঘরোয়া বৈঠকগুলোতে লিখিত ও মৌখিক উভয়ভাবেই সেই বিষয় গুলোর বারবার একথা বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন যে, আপনার একথা গুলো মহান পূর্বসূরীদের চিন্তাধারা থেকে বিচ্যুত এবং দাওয়াতের এই মেহনতের মতাদর্শের পরিপন্থি। এগুলো পরিহার করা উচিত। কিন্তু তিনি নিজের জিদের উপর পড়ে থাকেন এবং লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাবেশে তার বয়ানে কুরআন, হাদিসের মনগড়া ব্যাখ্যা, শরীয়ত পরিপন্থি ভ্রান্ত কথাবার্তা, তাবলিগের পূর্ব বুযুর্গগণের কাজের ধারাকে পরিবর্তন করে নিজেকে আমির হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে উগ্রবাদী দল গঠন করেন। তার কয়েকটি বিষয় ছাড়া বাকিগুলো বিভিন্ন ভ্রান্ত দলের মতবাদের সাথে মিল রয়েছে। এসব কারনেই বিশ্বের সকল হকপস্থি উলামায়ে কেরাম তাদের প্রত্যাখ্যান করেছেন।