জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীতে অন্তত ৩৫টি মামলা করেছিল তৎকালীন পুলিশ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করা ওই সব সাজানো মামলায় হত্যার দায় চাপানো হয়েছিল বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের ওপর। এখন পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, হত্যার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জড়িত নন।অবশ্য ৩৫ মামলায় উঠে আসা ৬২ জন হত্যায় কারা জড়িত, তা পুলিশ বের করতে পারেনি। খুনিদের শনাক্ত করতে না পেরে সম্প্রতি সেই সব মামলায় আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। আইনজীবী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, আওয়ামী লীগ সরকার জুলাই হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দায় এড়াতে বিএনপি ও জামায়াতের ওপর দোষ চাপিয়ে পুলিশকে দিয়ে মামলা করিয়েছিল। সেসব মামলা থেকে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীদের অব্যাহতি দেওয়া গ্রহণযোগ্য। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত, তা শনাক্ত করতে না পারা গ্রহণযোগ্য নয়।মামলার বিচার হয় পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন বা অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে। অভিযোগপত্রের বদলে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার অর্থ হলো, আদালত আবার তদন্তের নির্দেশ না দিলে এই মামলার তদন্ত স্থগিত থাকবে। আইনজ্ঞরা বলছেন, দোষী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করাই পুলিশের কাজ। কিন্তু সেই কাজ সম্পন্ন না করে মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রশ্ন উঠবে।এই ৩৫ মামলার মধ্যে ৯টির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়। সেই নেতা-কর্মী কারা, তা–ও তদন্ত কর্মকর্তা বের করতে পারেননি। জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন গত বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুযায়ী তদন্ত করে এসব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত প্রতিবেদনগুলো গ্রহণ করেছেন।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |