দেশে গত ৬ মাসে ৮০টি মাজার ও দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিশ্ব সুফি সংস্থা নামের একটি সংগঠন। কারা এসব হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে, এ বিষয়ে সংগঠনটি স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। সংগঠনের নেতারা বলছেন, এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা উচিত। আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিশ্ব সুফি সংস্থার ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়েছে। সংগঠনটি সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, এটি দরবার, খানকা ও আস্তানাগুলোর কর্ণধার এবং ওলি-দরবেশ-সাধকদের মাজারের তত্ত্বাবধায়কদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন।এর আগে ১৮ জানুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, দেশে গত ৪ আগস্ট থেকে পরবর্তী সাড়ে ৫ মাসে ৪০টি মাজার, সুফি সমাধিস্থল ও দরগাহে ৪৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলাকালে ভাঙচুর, ভক্তদের ওপর আক্রমণ, মাজারের সম্পদ লুটপাট ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ। ৪৪টি হামলার ঘটনাতেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৩ জনকে। অন্তর্বর্তী সরকার মাজারে যেকোনো হামলার বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি গ্রহণ করেছে। পুলিশের সব ইউনিটকে কঠোরভাবে মামলা তদন্ত এবং হামলার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকার দেশের মাজার ও দরগাহগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আজকের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী সদস্য হাসান শাহ দিপু নূরী বলেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের সংবাদ সম্মেলনের পরও মাজার ও দরবারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টরা গড়িমসি করছে।সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সব হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, আহত এবং হত্যার ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত ব্যক্তিদের বিচার নিশ্চিত করা। অগ্রাধিকারভিত্তিতে দেশের সব দরবার, খানকা, মজলিশ, আস্তানা, আখড়া, মাজারসহ সকল স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ক্ষতিগ্রস্ত দরবার ও মাজারগুলোর অর্থনৈতিক ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং যাঁরা হতাহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |