| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় চালের বাজার তদারকিতে ডিসি-এসপি, দিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 17-01-2025 ইং
  • 39192 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায় চালের বাজার তদারকিতে ডিসি-এসপি, দিলেন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস
ছবির ক্যাপশন: কুষ্টিয়ায় চালের বাজার তদারকিতে মাঠে নেমেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের বড়বাজার এলাকায়

চালের বাজার তদারকিতে মাঠে নেমেছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। জেলা প্রশাসকের সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি বৃহস্পতিবার ( ১৬ জানুয়ারি ) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বড়বাজার এলাকা ঘুরে চালের দাম ও মুনাফার হার যাচাই করে। পাশাপাশি নিত্যপণ্যের পাইকারি ও খুচরা কেনাবেচার রসিদ তদারকি করে। এ সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার চালের মোকামে উৎপাদিত সব ধরনের চাল মিলগেটে কেজিপ্রতি এক টাকা করে কমিয়ে বিক্রির ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক। এর আগে এক মতবিনিময় সভায় মিলের মালিকেরা এ দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। এরপরও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। মিলগেট থেকে খুচরা বাজার, সব জায়গায় আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চালের দাম; বরং চালের বাজার আরও ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে খুচরা বাজারে মিনিকেট চাল ৭৭ থেকে ৭৮ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, আগের দামেই মিলগেটে চাল বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে বাজারে আসা সাধারণ ক্রেতারাও প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তবে ভরা মৌসুমে এভাবে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা নেই মনে করলেও ধানের মূল্যবৃদ্ধিকে দোষারোপ করছেন মিলের মালিকেরা। বাজার তদারকি শেষে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অতিরিক্ত দাম নিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘মিলগেটে দাম বেশি, নাকি খুচরা পর্যায়ে দাম বেশি, চালের বাজারের প্রকৃত চিত্র বের করতে চাচ্ছি। কোথায় অসামঞ্জস্য, কেন দাম বাড়ছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সে জন্য খুচরা পর্যায়ে ও মিলগেটে তদারকির মাধ্যমে ক্রস চেক করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, বাজারে আমদানি করা চালের দাম কম। তাহলে আদৌও চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি তদারকিতে চালের দাম বাড়ার যৌক্তিকতা না থাকে, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘অনিয়ম আছে কি না, তা আমি এখনই বলতে চাচ্ছি না। ম্যাজিস্ট্রেটরা ভাউচার (রসিদ) সংগ্রহ করেছেন। তাঁরা ক্রস চেক করার পর আমরা বুঝতে পারব, কেউ আসলে কারসাজি করেছেন কি না কিংবা কোনো সিন্ডিকেট আছে কি নেই। যদি প্রমাণ খুঁজে পাই, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’এ সময় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতীম শীল, জেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক আল ওয়াজিউর রহমান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম