| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

পদ্মার চরে ফিরেছে সন্ত্রাসীরা, আতঙ্ক স্থানীয় বাসিন্দা

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 13-02-2025 ইং
  • 28820 বার পঠিত
পদ্মার চরে ফিরেছে সন্ত্রাসীরা, আতঙ্ক স্থানীয় বাসিন্দা
ছবির ক্যাপশন: পদ্মার চরে ফিরেছে সন্ত্রাসীরা, আতঙ্ক স্থানীয় বাসিন্দা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মার চরে ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার বৈরাগীর চর এলাকায় রাজু হোসেন (১৮) নামের এক তরুণকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। একই রাতে ও পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আবেদের ঘাট ও বৈরাগীর চর এলাকার পদ্মার চরে অন্তত শতাধিক গরু ও মহিষ লুটের অভিযোগ উঠেছে এসব বাহিনীর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা প্রতিদিন চরাঞ্চলে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কে রাখছে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতে মরিচা ইউনিয়নের তরুণ রাজু হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পদ্মার চরে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। একই রাতে মরিচা এলাকার শহিদ মন্ডলের বাথান থেকে অন্তত ৫০টি মহিষ ও ১৫টি গরু লুট করে সন্ত্রাসীরা। এরপর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকায় কালু কবিরাজের বাথান থেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৪টির বেশি গরু লুট করা হয়। এ ছাড়াও চরাঞ্চলের আরও কয়েকটি বাথানে গরু-মহিষ লুটের ঘটনা ঘটেছে।মরিচা ইউনিয়নের বাথানের মালিক শহিদ মন্ডলের স্ত্রী তমা খাতুন পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এতে তিনি মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মহিষ লুটের অভিযোগ করেন। তমা খাতুন নিজে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অন্যদিকে ফিলিপনগর ইউনিয়নের কালু কবিরাজ জানান, তাঁর বাথানে গভীর রাতে অস্ত্রধারীরা হামলা চালায় এবং রাখালদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গরুগুলো লুট করে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তা বললে আমাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।’ নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর লালচাঁদ বাহিনীর সদস্যরা সংঘবদ্ধ হয়ে এসব ঘটনা ঘটাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে স্থানীয় কিছু অস্ত্রধারী। গরু-মহিষ লুটের অভিযোগ নিয়ে অভিযুক্ত সাইদুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নই। কিছুদিন ধরে এলাকায় অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে। তারা রাতে পদ্মার চরে ঘুরে বেড়ায়। এরই মধ্যে আমার ভাতিজা রাজু খুন হয়েছে। এসব অস্ত্রধারীরা গরু-মহিষ লুট করেছে।’ কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ বলেন, ‘একটি হত্যাকাণ্ডের পর পদ্মার চরাঞ্চলে গরু-মহিষ লুটের মৌখিক খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় হলে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের দমন করা হবে।’খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০০১ সালে দৌলতপুরের পদ্মার চরাঞ্চলে গড়ে ওঠ লালচাঁদ বাহিনী এক দশক ধরে মাদক পাচার, অস্ত্র ব্যবসা, খুন, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, লুটপাট চালায়। ২০০৯ সালের ২৮ এপ্রিল বাহিনীর প্রধান লালচাঁদ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। এরপর তাঁর ছোট ভাই সুকচাঁদ বাহিনীর নেতৃত্ব নেন।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম