নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিয়ে-বহির্ভূত পবিত্র প্রেম-ভালোবাসার এ এক অনিবার্য পরিণতি। ডাস্টবিনে কুকুরের মুখে খুবলে খুবলে খাওয়া নবজাতকের নিষ্পাপ দেহ, টয়লেটের কমোডে কিংবা হলের ট্রাংকে নবজাতকের লাশ। জাস্ট কয়েক মিনিটের সাময়িক আনন্দের জন্য নিষ্পাপ শিশুর রক্তে হাত রাঙায় তারই জন্মদাতা আর জন্মদাত্রীরা! মানবসভ্যতার কী করুণ এক পরিণতি! এই বিশ্বকাঠামো রঙচঙ মেখে কাছে আসার গল্প শেখায়। কিন্তু কাছে আসার গল্পের পরের দৃশ্য আর দেখায় না।হিটলার ৬০ লাখ ইহুদীকে খুন করেছিল গর্ভপাতের মাধ্যমে অনাগত সন্তানদের হত্যা করার এই পরিমাণ হিটলারের হত্যাকাণ্ডের চাইতেও প্রায় ১০ গুণ বেশি।আসছে ১৪ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব বেহায়া দিবস ! আসুন আমাদের পরিবার পরিজনদের কে এ বেহায়াপনার হাত হতে রক্ষা করি। অনেকে এ দিবসে তার জীবনের মূল্যবান অনেক কিছু হারাবে। কতজনের এই সাময়িক আনন্দ পরবর্তী তে চোখের জলে রুপান্তরিত হবে, তাই আসুন আমরা সচেতন হয় এবং আমাদের পরিবার পরিজনদের কে রক্ষা করি।
বিশ্ব ভালবাসা দিবস কে না বলুন! বাংলায় এ দিবসের জনক শফিক রেহমান কে ধিক্কার জানান। কেন ভালবাসা দিবস? কিভাবে এই নোংরা দিবসের সুচনা? কষ্ট হলেও পড়ার অনুরোধ রইলো। ক্যাথোলিক বিশ্ব কোষ, এ এই ভ্যালেন্টাইনস ডে সম্পর্কে কয়েকটি ব্যখ্যা পাওয়া যায় বিভিন্ন বইয়ে লেখা বিভিন্ন ঘটনার স্বরুপ, রোমান সম্রাট ২য় কর্ডিয়াছের রাজত্বকালে বাধ্যতামূলক ভাবে অনেক রুমান সেন্যকে সেনাবাহিনীতে যোগদান করতঃ হতো,কিন্তু বিবাহিত লোকজন তাদের সহধর্মিনী ছেলে সন্তানের জন্য যোগ দিতে চাইতো না,এজন্য কর্ডিয়াস রোমান যুবকদের বিবাহ নিসিদ্ধ করেছিল, ঐ সময় ভ্যালেন্টাইন নামক এক পাদ্রী সম্রাটেরর এই অন্যায় ব্যবস্থার প্রতিবাদে গোপনে বহু প্রেমিক প্রেমিকার বিয়ের ব্যবস্থা করেন,যার ফলে সম্রাটের পক্ষ থেকে ওই পাদ্রীকে গ্রেপ্তার করে মৃতদন্ড কার্যকর করা হয়,সেই পাদ্রী তার মৃতদন্ডেরর পূর্বে তার এক নারী ভক্ত কে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখেন, সেই চিঠিতে লেখা ছিল, লাভ ফরম ইউ আর ভ্যালেন্টাইনস,,এর পর থেকেই নাকি শুরু হয় ভ্যালেন্টাইনস,দিবসটিকে নিয়ে আরো কিছু কাহিনি কথিত আছে, গোটা ইউরোপে যখন খ্রিষ্টীয় ধর্মের জয় জয় কার তখনো ঘটাকরে পালন করা হতো রোমিও একটি কালচার, ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা যে কোন মেয়েদের নাম লিখে একটি চিরকুটে জমা করত,অতঃপর ওই বক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে চিরকুট তুলতো, যার হাতে যে মেয়ের নাম বের হয়ে আসতো সে পুরো বছর ওই মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকতো। এবং সাথেই তাকে চিঠি লিখত এই শিরোনামে, প্রতিমা মাতার নামে এই পত্র প্রেরন করছি এবং তাদের সাথে সম্পর্ক সাড়া বছর বিদ্যমান থাকতো এবং বছর শেষে এই সম্পার্ক নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো, এই কালচার টি কিছু পাদ্রীদের দৃষ্টিগোচর হলে তাদের কে ভাবিয়ে তোলে ও তারা মনে করল একে সমুলে উৎপাটন করাতো সম্ভব নয় তাই শুধু শিরোনাম টি পাল্টে দিয়ে নির্দেশ জারি করল এখন থেকে এই পত্র গুলো সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর নামে সেন্ট করতে হবে এবং এটি খৃষ্ট ধর্মের নিদর্শন। এবং একে কেন্দ্র করেই খৃষ্টানরা বসন্ত কালে বা ১৪ফেব্রুয়ারি তে অবাধ যৌনচারে মেতে উঠতো। শুধু একদিনেই আমেরিকাতে সতেরশ কোটি ডলারের ব্যবসা হয় ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যে…
সারা বিশ্বের হিসেব তো বাকিই থাকল… সেই ভ্যালেন্টাইন ডে’র কিছু গোপন কথা ও ইতিহাস নিয়ে এই
লেখা… প্রাচীন রোমানদের ধর্ম ছিল প্যাগান ধর্ম এবং তারা
বিভিন্ন দেবতাদের পুজা করতো। লুপারকাস ছিল তাদের
বন্য পশু দেবতা। এই দেবতার প্রতি ভালবাসা জানিয়ে তারা
‘লুপারক্যালিয়া’ (Lupercalia) নামক পুজা_উৎসব করতো।এই পুজার প্রধান আকর্ষণ ছিল লটারি। বিনোদন ও আনন্দের জন্য যুবকদের মাঝে যুবতীদের বণ্টন করে দেয়াই ছিল এ লটারির উদ্দেশ্য। পরবর্তী বছর আবার নতুন করে লটারি না হওয়া পর্যন্ত যুবকেরা তাদের জন্য বরাদ্দ
মেয়েদের এক বছর ভোগ করার সুযোগ পেত। এই ‘লুপারক্যালিয়া’র দিনে আরেকটি প্রথা ছিল। এদিন তারা ছাগল ও কুকুর তাদের দেবতাদের জন্য উৎসর্গ করত… আর
উৎসর্গিত ছাগল ও কুকুরের_রক্ত গায়ে মেখে তাদেরই চামড়ার পোশাক ও চাবুক বানিয়ে যুবকরা ঐ চাবুক দিয়ে যুবতীদের আঘাত করতো। তাদের বিশ্বাস ছিল এতে যুবতী নারীদের গর্ভধারণ_ক্ষমতা হবে। তবে যুবতী বন্টন লটারি পদ্ধতি সেসময়েও চালু ছিল। পরে মধ্যযুগের শুরুতে লটারি নিয়ে ঝামেলা ও গণ্ডগোল তৈরি হওয়ায় ফরাসি সম্রাট
ভ্যালেন্টাইন দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ করে দেয়। পরে ইতালি,
অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতেও একে একে এটা নিষিদ্ধ হয়। এমনকি ইংল্যান্ডেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৬৬০ খ্রিষ্টাব্দে রাজা দ্বিতীয় চার্লস আবার এটি পালনের প্রথা চালু করেন। পরবর্তীতে ব্যবসায়িক স্বার্থে বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়। কারণ একেকটি দিবস মানেই মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিদের বড়
রকমের ব্যবসা। বিজনেস ইনসাইডারের মতে, শুধু এই একদিনেই আমেরিকাতে সতেরশ কোটি ডলারের ব্যবসা হয়। মূলত যে নয়টি বড় কোম্পানি ভ্যালেন্টাইন ডে’কে ছড়িয়ে
দেওয়ার জন্য কাজ করেছিল, তার মধ্যে একটি ছিল 1-800
Flowers… ফুলের এই কোম্পানি শুধু এই ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষ্যেই প্রতি বছর দশ লক্ষ নতুন কাস্টোমার
পায়… এছাড়া চকোলেট কোম্পানি
হার্শে, নেকো, কার্ড কোম্পানি হলমার্ক, টেডি
বিয়ার কোম্পানি হার্মোন্টসহ বেশ কিছু কোম্পানি গত একশ বছর ধরে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ভ্যালেন্টাইন ডে’র ব্যাপক
প্রচার করছে। ১৯৯৩ সালের আগে আমাদের বাংলাদেশের লোক বুঝতই না ভ্যালেন্টাইন ডে কি জিনিস…
১৯৯৩ সালে লন্ডন ফেরত সাংবাদিক শফিক রেহমান এদেশে প্রথম ভ্যালেন্টাইন ডে আমদানি করেন ব্যবসায়িক স্বার্থেই… তরুণদের মাঝে নতুন কিছুর মাধ্যমে তার “যায়যায়দিন” পত্রিকার প্রচার বৃদ্ধি করার জন্য… এরপর সারা
দেশে ছড়িয়ে যায়। মুলত এই ভালবাসা দিবস হল একটি পুজার দিন যেদিন যুবকদের মাঝে লটারি করে ভোগের জন্য যুবতীদের দেওয়া হত। আর আমরা এমন এক জাতি, পশ্চিমারা আমাদের যা খাওয়া শেখায়, আমরা তাই খাই… সকল ইসলামিক_স্কলার একমত এই দিনটা মুসলমানদের জন্য পালন করা সম্পূর্ণ_নিষিদ্ধ… ফুল, গিফট, উইশ করা তো দূরে থাক। কারণ ভ্যালেন্টাইন ডে পালন করা মানেই প্যাগানদের পূজায় অংশগ্রহন করা, সেটা যেভাবেই হোক না কেন। এমনকি খ্রিষ্টান ধর্মমতেও এটা পালন করা নিষেধ।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |