| বঙ্গাব্দ
ad728
ad728

কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট লালন শাহের দোল উৎসব

রিপোর্টারের নামঃ MD MUNZURUL ISLAM
  • আপডেট টাইম : 12-03-2025 ইং
  • 13632 বার পঠিত
কুষ্টিয়ায়  বাউল সম্রাট লালন শাহের দোল উৎসব
ছবির ক্যাপশন: বাউল সম্রাট লালন শাহের দোল উৎসব

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম 

লালন একাডেমীর সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমান জানান, রমজানের কারণে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধার পরই সীমতি পরিসরে কিছু আয়োজন রয়েছে। তবে কোন মেলা এবং উন্মুক্ত মঞ্চে গানের আসর হবে না বলে তিনি জানান বিকেল ৩ টায় লালন অডিটোরিয়ামে জেলা প্রশাসক মোঃ তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, লালনের জীবন ও দর্শন নিয়ে আলোচনা করবেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুজ্জামান। এর পরে সন্ধায় আগত বাউল ফকিরদের অধিবাস ও রাতে পুর্ণসেবা প্রদান করা হবে। পরদিন ১৪ মার্চ দুপুরে নিজ নিজ উদ্যোগে বাউল-ফকিররা পুর্ণসেবার আয়োজন করবেন। প্রতি বছর দোল উৎসবে লালন মাজারের সামনে কালী নদীর ভরাটকৃত বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে বসে মেলা। সামনে লালন মঞ্চে চলে আলোচনা সভা ও গানের আসর। এবার নেই সে সব আয়োজন। ক্ষোভ-দুঃখ মনে এসব বাউল ফকিরদের। সীমিত আয়োজন সম্পন্ন করতে রং,আর ধোয়া মোছার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার মাজারের ভেতরের আয়োজনও সীমিত। অজানা জ্ঞান অন্বেষণই এখানে আসা। লালন ভক্ত অনুসারীরা বলেন সাধুতেই শান্তি। ‘ দেশে সমস্যা অনুসারে ভিন্ন বিধান হতেও পারে, সাঁইজীর বাণিকে স্মরণ করে এবারও সব কিছু মেনে নিয়েছেন লালন ভক্ত অনুসারীরা।গুরুবাদী মতবাদের লালন অনুসারীদের এই সম্মিলনী হয়ে উঠে এক মহামিলন ক্ষেত্র। আখড়াবাড়ির বাউল আঙিনা কানায়-কানায় ভরে উঠে। সাধু-গুরুরা দৃষ্টিতে সৃষ্টি এবং স্পর্শে পরশের বয়ান দানসহ বাউল আরাধ্যের সাধন, করণ ও গানের দেশ নিয়ে ভক্তদের কাছে ব্যাখা করেন। এছাড়া মানব দেহে পাপ মুক্তি এবং আত্মার মুক্তি নিয়ে ভাব-আচার বিনিময় করেন তারা এ উৎসবে।
পর পর দুই বছর রমজানে দোল উৎসব হওয়ায় সাধু-গুরুদের করণ-কারণে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। তার পরও সাঁইজীর ধামে আসতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন অনেকে। গত বছরের চেয়ে এবার খিলকাধারী সাধু-গুরুদের আখড়াবাড়িতে কম লক্ষ্য করা গেছে। দোল উৎসবের শুরুতে ভিন্ন-ভিন্ন আস্তানায় খুব সকালে সাঁইজীর দরবারে ভক্তি দিয়ে তারা চাল-জল নিয়ে স্নান সেরে বাল্য সেবা (সকালের নাস্তা) নেন। এরপর নিজ-নিজ আস্তানায় আসনে বসে আল্লা-আলেক ধ্বণী তুলে দিন ডেকে অধিবাস ঘোষনা করেন। এর আগে তারা আখড়া আঙিনায় প্রবেশের সময় আখড়াবাড়ির প্রধান ফটকে গুরুভক্তি দেন। পাশাপাশি ভক্তদের নিয়ে আসনে বসে লালন সাঁইজীর দৈণ্য গান দিয়ে আরাধনা শুরু করেন। এরপর একাধারে গানের পিঠে গান করে থাকেন ভক্তরা।বাউল রহমান শাহ বললেন, ‘সাঁইজী সবই দেখেন। তবে মানবের মুক্তিতো কোনো কিছু ভেঙে হয়না। গড়তে হয়। যার-যার ভক্তি, বিশ্বাস, ভাবÑসবই মনের ভিতর। বাহ্যিক অলঙ্করণেও না, আবার উগ্রতা প্রকাশ করেও হয় না। মনের ভাব দিয়ে যদি ঈশ্বর পেতে হয় আগে হিংসা দ্বেশ ত্যাগ করতে হবে। যারা মাজার ভাঙ্গছে, হামলা করছে, সেটা দেখার দায়িত্ব সরকারের, কারণ আমরা গড়তেও বলিনি, ভাঙতেও বলিনি। তবে যা হচ্ছে মানবের জন্য অকল্যানকর।’ উৎসুকরা বলেছেন, সরকার এই বিষয়টি প্রশ্রয় দিলে পরিস্থিতি ভালো হবে না। একারণে ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং ধর্ম নিরপেক্ষ এই দেশে মৌলবাদীদের উত্থান অঙ্কুরেই বিনষ্ট করা দরকার বলে অনেকে মন্তব্য করেছেন। মাজারের সাবেক খাদেম ও বাউল ছালাম শাহ জানান, এবারও রমজানে দোল উৎসব হওয়ায় সীমিত আয়োজন হলেও মুল ধারার বাউল ফকির যারা তারা তাদের কর্ম, ভক্তি ঠিকই করবেন বলে জানালেন। তিনি জানান, দেশ সমস্যা অনুসারে ভিন্ন বিধান হতেও পারে, সাধুতো বলছেন, অন্যের ধর্মের প্রতি কোন প্রকার বিঘœ সৃষ্টি করা যাবে না। তাই প্রশাসন যেটা করেছেন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারেই করেছেন। 

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ আলোর পথ | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় অনুপম