কুষ্টিয়ার খোকসায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি ও খেয়াঘাটে হামলার ঘটনায় দু’জন গুলিবিদ্ধহ চারজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার গভীর রাতে গড়াই নদীর খোকসা খেয়াঘাট ও জানিপুর ইউনিয়নের বিহারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে খেয়াঘাটে দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে ৫ ঘণ্টা খেয়া পারাপার বন্ধ রাখে ঘাটের মাঝিরা। গুলিবিদ্ধ শরিফুল ইসলাম বিহারিয়া গ্রামের ওহেদ আলী মোল্লার ছেলে। অপর গুলিবিদ্ধ আব্দুল মান্নান একই গ্রামের আলাউদ্দিন শেখের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে এক দল সশস্ত্র দুর্বৃত্ত উপজেলার বিহারিয়া গ্রামে জানিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদের বাড়িতে হানা দেয়। হামলাকারীরা নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে চেয়ারম্যানের ভাই শরিফুল ইসলামকে ঘুম থেকে ডেকে তোলে। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বৃত্তরা শরিফুলের হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারধর করে। এক পর্যায়ে তাঁর বাম পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ শরিফুলের স্ত্রী নাজমা জানান, গভীর রাতে বাড়ির দেয়াল টপকে কয়েকজন লোক বাড়ির ভিতরে ঢুকে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁর স্বামীকে ডাকাডাকি করতে থাকে। এক পর্যায়ে স্বামী নিজেই ঘরের দরজা খুলে দেন। এ সময় তিনজন লোক ঘরে প্রবেশ করে তাঁর স্বামীকে বিছানায় বসিয়ে হাত-পা বাঁধতে থাকে। এক পর্যায়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময় তার স্বামী শরিফুলের পায়ে একই স্থানে দুটি গুলি চালায়। অপর গুলিবিদ্ধ আব্দুল মান্নানের ছেলে রুবেল শেখ জানান, রোববার দুপুরে মোবাইল নম্বরে কল করে তাঁর কাছে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। তিনি টাকা দিতে অপরাগতার কথা জানান। এ ঘটনার সূত্র ধরে সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়িতে হামলা করতে পারে। জানিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজিদ বলেন, সাত মাস আগে সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর হামলা করে একটি পা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। তিনি খোকসার বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এবার তাঁর ভাই শরিফুলের পায়ে গুলি করে তাঁকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। আগের হামলাকারীরাই এবারের হামলার সঙ্গে জড়িত বলে ধারণা করছেন তিনি।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |