কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ায় ব্যাঙের ছাতারমত গড়ে উঠেছে অশংখ্য লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালগুলোর অব্যবস্থাপনার সুযোগে স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। এদিকে, সরকারি তদারকির অভাবে কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলাগুলোর বেসরকারি লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারসহ অর্ধশত প্রতিষ্ঠান রোগীদের দুর্বলতার সুযোগে তাদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো অর্থ আদায় করছে। স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার নাম করে জনসাধারণের অর্থ লুটপাট ও প্রতারণা করছে। অনেক ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নেই পর্যাপ্ত লোকবল, নেই মেশিনারি, নেই অনুমোদন, তবুও দালাল মারফত প্রতিনিয়ত চলছে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা। কিন্তু এই নিয়ে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা দেখা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের কথা থাকলেও তা ঠিকমতো নজরদারির আওতায় আসেনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা থাকার পরও নিরব ভূমিকায় আছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জন অফিস। স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনার পর অনেক অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু তদারকির অভাবে সেগুলো এখন চলমান। অনেকেই আবার নাম পরিবর্তন করে পূর্ণরায় চালাচ্ছেন সেসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিয়মিত রুটিন ওয়ার্ক হিসেবে কাজ করার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আছে নিরব ভূমিকায়। এসব ১০ বেডের একটি ক্লিনিকের জন্য তিনজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক, ছয়জন ডিপ্লোমা নার্স, তিনজন সুইপার থাকার পাশাপাশি তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সম্মতিপত্র থাকলেই তার অনুমোদন মিলবে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। তবে অনুমোদনের আগেই এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্লিনিক চালু করতে হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পরিদর্শন শেষে রেজিস্ট্রেশন লাভের পরেই সেটি হবে বৈধ ক্লিনিক। আর এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের অধিকাংশ চিকিৎসকই ভুয়া।সম্প্রতি, কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আনেছা নার্সিং হোম, মহেশকুন্ডি বাজার। প্রোঃ মোঃ সেলিম রেজা ভাষান ও মোঃ নাজমুল হোসেন।পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম। সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো ক্লিনিকের পরিচালক ক্লিনিক পরিচালনা করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ভক্তভোগী বলেন ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে অর্থ লুটপাট ও রোগীর আত্মীয়র সাথে প্রতারণা। রোগীর ইমারজেন্সি মুহূর্তে ডাক্তার পাওয়া যায় না। তবুও দালালের মাধ্যমে এই ক্লিনিক রোগী ভর্তি করে থাকে। একই এলাকার কয়েকটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায় সরকারি নির্ধারিত নিয়মের কোনটি তারা পরিপূর্ণভাবে মানেন না। তাদের ইচ্ছে মত রোগীর সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এতে হুমকির মুখে পড়ছে স্বাস্থ্য খাত। আর প্রতারিত হচ্ছে গরিব অসহায় রোগীর আত্মীয়-স্বজন। এমনকি অনভিজ্ঞ ডাক্তার ও ভুল চিকিৎসার কারণে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। আর কত প্রাণ নাশের পর সচেতন হবে স্বাস্থ্য খাতের কর্মকর্তারা। রোগীর আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলে জানা যায় হঠাৎ রোগী অসুস্থ হলে রোগী দেখার মত তাৎক্ষণিক ডাক্তার পাওয়া যায় না। ক্লিনিক বাড়ির পাশে হওয়ায় অনেকটা বাধ্য হয়েই এই ক্লিনিকে রোগী ভর্তি করতে হয়। কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, কুষ্টিয়ায় লাইসেন্সকৃত ২২১টি ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার আছে। তবে এদের বেশির ভাগই নবায়ন নেই। স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে যারা এখনও নবায়ন করেননি বা অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |