কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া শহর শাখার গণসংযোগ উপলক্ষে সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার সময়  কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে শত শত  নতা কর্মীর উপস্থিতিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাসেম, জেলা আমীর, বা. জা. ই. কুষ্টিয়া। বিশেষ অতিথির হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ফরহাদ হোসাইন, কেন্দ্রীয় শূরা, জেলা শূরা কর্মপরিষদ সদস্য, বা.জা.ই. কুষ্টিয়া। অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার, জেলা সেক্রেটারি, বা, জা. ই. কুষ্টিয়া। অধ্যাপক মাজহারুল হক মোমিন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি, কুষ্টিয়া। মো: এনামুল হক, শহর আমীর, বা. জা.ই. কুষ্টিয়া শহর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আব্দুল গফুর, জেলা নায়েবে আমীর, বা.জা.ই. কুষ্টিয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফুয়াদ ফয়সাল প্রচার সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা যুব ওয়াড। প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান ১২ নং ওয়াডের  জামাতের যুব ওয়াড  সভাপতি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া শহর শাখার বিভিন্ন নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করা হয়। উদ্বোধনী বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন হাফেজ জাকির হোসাইন, সেক্রেটারি, শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন, কুষ্টিয়া। ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শাহাদত হোসাইন সাঈদ, বিশিষ্ট ইসলামী সঙ্গীত শিল্পী। এছাড়াও দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন কুষ্টিয়া শহর সাংস্কৃতিক বিভাগের ইসলামী সঙ্গীত শিল্পীরা। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম ছাড়া মানুষের তৈরি আইন দিয়ে সমাজে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই আসুন, কুরআন পড়ি, কুরআন বুঝি এবং কুরআনের আলোকে জীবন গড়ি। তিনি আরও বলেন আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সংকট নৈতিকতা সম্পন্ন ভালো মানুষের। এই দুনিয়ার সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করেও একজন ভালো মানুষকে তৈরি করা সম্ভব নয়। অথচ সেই চ্যালেঞ্জিং কাজটিই করছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) যে আদর্শের মাধ্যমে তার সাথীদেরকে উন্নত নৈতিকতায় সমৃদ্ধ করে একটি সোনার রাষ্ট্র তৈরী করেছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সেই আদর্শকে ধারণ করে এদেশে একদল মানুষকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। এদেশে জামায়াত কর্মীরাই পারে একটি নৈতিকতা সম্পন্ন সুখি সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে। আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ের জন্য এই জমিনে তাকওয়া সম্পন্ন একদল যোগ্য কর্মী বাহিনী প্রয়োজন। সেই নৈতিকতা সম্পন্ন সৎ ও যোগ্য লোক তৈরির জন্যই আপনাদের একত্রিত করা হয়েছে। কুরআন ও সুন্নাহর জ্ঞানে নিজেদেরকে তৈরি করে ইকামাতে দ্বীনের বিজয়ের জন্য আমাদের সকলকে ময়দানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। দুর্নীতির এই মহোৎসবের যুগেও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মন্ত্রণালয় পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার সকল স্তরে জামায়াত সততার সর্বোচ্চ উদাহরণ পেশ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে এদেশের জনগণ নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বকে গ্রহণ করতে ব্যাকুল হয়ে আছে। তাই জামায়াতে ইসলামীর সকল জনশক্তিকে গণমুখী চরিত্রের অধিকারী হয়ে সমাজের মানুষের সেবা অব্যাহত রাখতে হবে।