মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
ফসলের মাঠে মাঠে শুধু ধান আর ধান। কড়া রোদের ফাঁকে হালকা বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল। ক্ষেতে বোরো ধানের শীস দেখে কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক দেখা গেছে। চলতি মৌসুমে কৃষকের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের এ ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায়।এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নিরাপদে ধান ঘরে তোলার কার্যক্রম। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দিগন্ত জোড়া সবুজ আর হলুদ রঙে সেজেছে বোরো ধানের ক্ষেত। ধানের মম গন্ধে ভরে উঠেছে গ্রামীণ জনপদ। এখন মাঠজুড়ে বোরো ধান সোনালি রঙ ধারণ করেছে। জমিতে চারা লাগানোর পর থেকেই কৃষকরা ভালো ফলনের আশায় সময়মতো নিবিড় পরিচর্যা, সার, সেচ ও কীটনাশক প্রয়োগ করেছেন। এ কারণে আবাদও ভালো হয়েছে। এছাড়াও এবার ক্ষেতে তেমন কোনো রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণও নেই। সবমিলিয়ে চলতি মৌসুমে কৃষকেরা পরিতৃপ্ত। কোনোরকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। প্রতিবিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ ধান উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষকের। এসময় কৃষক ও শ্রমিকেরা দলবদ্ধ হয়ে জমিতে ধান কাটতে সময় পার করছেন। এদেরকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা। শালঘরমধুয়া গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় এবছর ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এবার ৩ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। ধান চাষে প্রতিবিঘা জমি প্রস্তুত, কীটনাশক, সার, পানি, নিড়ানী এবং কাটা-মাড়াই করতে অন্তত ১৫-১৭ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে অন্তত ৪০-৪৫ মণ করে ধান পাওয়া যাবে। আশা করছি, আশানুরূপ ফলন পাবো। আরেক কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, এবার ৪ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। এবার ধানের তেমন রোগবালাই নেই। বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে রয়েছে। তবে ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে শুরু হবে ধান কাটা-মাড়াই। ফলনও আশানুরূপ হবে। রোগবালাইও তেমন নেই। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দ্রুত পাকাধান কাটার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |