কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
ভরা গ্রীষ্মেও শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত করেছে কুষ্টিয়ার কৃষকরা। প্রাকৃতিকভাবে মাটি বেশি উর্বর এবং আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় জেলার ৩টি উপজেলায় বাঁধাকপি চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষকেরা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ বাঁধাকপি চলে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। সবজিখ্যাত জেলা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, মিরপুর ও সদর উপজেলায় ভরা মৌসুমে সবজি চাষ করে হতাশ হলেও গ্রীষ্মকালে লাভের মুখ দেখছে এ জেলার কৃষকেরা। বর্তমান বাজারে শীতকালীন এ সবজির চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা বিঘা প্রতি লাভ করছে প্রায় লাখ টাকা। সরেজমিনে জেলার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন মাঠে গিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ সবজির জমিতে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি। অনেক কৃষক বাঁধাকপি বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন আবার ফলন ভালো হওয়ায় কেউ আগাম জাতের এই বাঁধাকপি রোপন করছেন। দৌলতপুরের বাঁধাকপি চাষি সালাম বলেন, চলতি বছর গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির ফলন ভালো হয়েছে। প্রতিটি বাঁধাকপি ২-৩ কেজি ওজনের হয়েছে। শীতের সবজি গ্রীষ্মের বাজারে চাহিদা ভালো হওয়ায় কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে বিঘা প্রতিতে খরচ বাদে ৮০-৯০ হাজার লাভ থাকবে। বাম্পার ফলন হওয়ায় ৬ বিঘাতে ৫-৬ লাখ টাকা লাভ হবে। তিনি আরও বলেন, গ্রীষ্মে বাঁধাকপির ফলন নিয়ে প্রথমে শঙ্কা থাকলেও কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা পাওয়ার কারণে ভালো হয়েছে। স্থানীয় কৃষক হাসেম আলী বলেন, বর্তমান বাজারে বাঁধাকপির দাম ভালো। সালামের বাঁধাকপির ফলন ভালো হওয়ায় আমার জমিতে এই সবজি চাষ শুরু করেছি। কৃষক সাব্বির বলেন, খরচের তুলনায় ৩ গুণ লাভ হওয়ায় আমিও গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাছাড়া অন্য সবজির চেয়ে কম সময়ে বাঁধাকপি বাজারজাত করা যায়। এবার যারা এই সবজি চাষ করেছে তাদের ফলনও ভালো হয়েছে। একই মাঠের তামাক চাষী হবিব বলেন, অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাঁধাকপিতে খরচ ও শ্রম অনেকাংশে কম। আবার একই জমিতে বছরে তিন বার চাষ করা যায়। সেচ ও সার কম লাগায় শীতের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে ভালো লাভ করা সম্ভব। এছাড়া তামাক আবাদ কমিয়ে পরের বার বাঁধাকপি চাষ করবেন বলে জানান তিনি। এদিকে মিরপুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আমান বলেন, অন্যান্য সবজির পাশাপাশি গ্রীষ্মকালে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বাঁধাকপির চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকেরা। এতে চাষির পাশাপাশি আমরাও লাভবান হচ্ছি। কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুফি মোঃ রফিকুজ্জামান বলেন, কুষ্টিয়ার আবহাওয়া ও মাটি কৃষির জন্য বেশ উপযোগী। এ জেলায় সারা বছরই বেশিরভাগ সবজির চাষ হয়ে থাকে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে কুষ্টিয়ার তিন উপজেলায় প্রায় ৯শ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপির চাষ হয়েছে। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ে চাষিদের সর্বদা পরামর্শ ও সহযোগিতা করছি।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |