একেএম নাজমুল আলম
বাংলাদেশের কৃষি খাতে এক নতুন সম্ভাবনার নাম মিষ্টি কুমড়া। পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং সহজে সংরক্ষণযোগ্য এই সবজিটি বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। কৃষকেরা বলছেন, অন্য ফসলের তুলনায় মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকি কম এবং লাভ বেশি। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কৃষক আব্দুল মালেক জানান, “এক বিঘা জমিতে চাষ করতে আমার খরচ হয়েছে মাত্র ১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছি ৩৫ হাজার টাকার কুমড়া। মাঠে এখনও কিছু ফল রয়েছে। সব মিলিয়ে আশা করছি প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় হবে।”তিনি আরও বলেন, “পানি সেচ ও সার ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখলেই ফলন ভালো হয়। তেমন কোনো পোকামাকড়ের আক্রমণও হয় না। স্থানীয় বাজারে বর্তমানে প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে মিষ্টি কুমড়ার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। কারণ এটি সাশ্রয়ী দামে দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য ও পুষ্টিকর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বলেন, “বর্তমানে আমরা কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। প্রশিক্ষণ, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনার দিক থেকে সরকার সহায়তা দিচ্ছে। ভবিষ্যতে মিষ্টি কুমড়া রপ্তানির পরিকল্পনাও রয়েছে।” তিনি আরও জানান, বর্তমানে যশোর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, রাজশাহী, নাটোর, পঞ্চগড়সহ প্রায় ২০টি জেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ ব্যাপকভাবে হচ্ছে।চিকিৎসকদের মতে, মিষ্টি কুমড়া বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন-এ, সি, পটাশিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এটি শিশু ও বৃদ্ধদের জন্যও খুবই উপযোগী। ভর্তা, ভাজি, সবজি, চচ্চড়ি এমনকি পিঠা-পায়েসেও এটি ব্যবহৃত হয়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরিকল্পিত সংরক্ষণ ব্যবস্থা, বিপণন চেইন, কৃষক পর্যায়ে ঋণ সহায়তা এবং রপ্তানি খাতের উন্নয়ন হলে মিষ্টি কুমড়া কৃষির একটি উল্লেখযোগ্য উপখাতে পরিণত হতে পারে
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |