মোঃ আশরাফ ইকবাল পিকলু মাজমাদার খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান
সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ হিসেবে বশিরউদ্দিন আহমেদ মাজমাদার ঝিনাইদহের একজন খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব।
তিনি শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত হুদামাইলমারি গ্রামের মাজমাদার পরিবারে ১৮৯৮ সালের আগষ্ট মাসে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা নজীর উদ্দিন আহমেদ মাজমাদার ও মাতা সৈয়দা করিমন নেছা। তিনি ঝিনাইদহ মডেল হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন ১৯৩৪ সালে এবং কলিকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে আই. এ. ও অর্থনীতি বিষয়সহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। লেখাপড়া শেষে তিনি ইনকামট্যাক্স অফিসার হিসেবে ১৯৪৫ সালে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। এ সময় মি. জিন্নাহর দ্বি-জাতীয় তত্বে পাকিস্তান আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৪১ সালে তিনি চাকরীতে ইস্তফা দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহন করেন।
রাজনৈতিক জীবনে তিনি ভারতীয় মুসলিমলীগের সহকারী সম্পাদক পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন একজন বাকপটু ব্যক্তি। বাংলা ও ইংরেজিতে যথেষ্ট জ্ঞান ছিল। উভয় ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে শ্রোতাদের আকৃষ্ট করার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তাঁর। ১৯৪৬ সালের নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রার্থী বিজয়ের লক্ষে তাঁর ভুমিকা ছিল প্রশংসনীয়। ১৯৬২ সালে কনভেনশন মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। এটি ছিল ঝিনাইদহ হতে কোনো ব্যক্তির প্রথম মন্ত্রীত্ব লাভ। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মন্ত্রীসভায় পূর্ত, সেচ, ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়ীত্ব প্রাপ্ত হন।
ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ, কালীগঞ্জ সুগার মিল, যশোর শিক্ষাবোর্ড,ঢাকা মিরপুর দুই নাম্বারে বশির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজ,ঝিনাইদহ- কুষ্টিয়া রোড, ঝিনাইদহ শহর বিদ্যুতায়ন, ঝিনাইদহ কে.সি.কলেজকে ডিগ্রী কলেজে উন্নীতকরণ ও বিজ্ঞান বিভাগ খোলার জন্য সরকারি অনুদান প্রদান ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ ভবন ও এম.পি. হোষ্টেল নির্মান, ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নতুন করে নির্মাণ, যশোর টিচার্স- ট্রেনিং কলেজ,যশোর পলিটেকনিক কলেজ,ঝিনাইদহ মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়,বি.ডি.হল (বর্তমানে আর.ডি.হল),নবগঙ্গা নদীর উপর ব্রিজ নির্মানসহ হামদহ মোড় থেকে আরাপপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত পাকাকরণ প্রভৃতি কাজ তিনি মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে এসব নকশা প্রণীত হয় এবং সরকার থেকে অর্থ বরাদ্দ হয়।
তাঁর মন্ত্রীত্বে থাকাকালীন সময়ে উল্লেখিত উন্নয়নমূলক কাজগুলো বাস্তবায়িত হয়।
বশিরউদ্দিন আহমেদ মাজমাদার-এর সমাজসেবা ও জন্মভূমি ঝিনাইদহের প্রতি প্রগাঢ় ভালবাসার নিদর্শন। তিনি ১৯৪২ ও ১৯৬০ সালে অনারারী ম্যাজিস্ট্রেট নিযুক্ত হন। ঝিনাইদহ শহরে মাওলানা ভাসানী সড়কে তাঁর দ্বিতল বাড়ি আছে । ১৯৭৫ সালের ৫ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন।
তথ্যসুত্র, ঐতিহ্যবাহী ঝিনাইদহ - ৬৭
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |