নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়া জেলার কৃষিজমিতে এবার আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। জেলার অধিকাংশ উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে—মাঠে মাঠে সবুজ ধানের শিষ দোল খাচ্ছে বাতাসে। চোখ জুড়ানো এই দৃশ্য দেখে উচ্ছ্বসিত কৃষকেরা, তারা আশাবাদী এবারের মৌসুমে কাঙ্ক্ষিত ফলন হবে এবং ন্যায্যমূল্যও পাওয়া যাবে। জেলার কুমারখালী, খোকসা, মিরপুর, দৌলতপুর ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কৃষকেরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন ধানের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই আগাম বীজতলা তৈরি করে সঠিক সময়ে চারা রোপণ করেছেন, ফলে এখন ধানগাছ পরিপক্ব হয়ে উঠছে। উপযুক্ত আবহাওয়া ও সঠিক পরিচর্যায় ধানের গাছগুলো সজীব ও সবুজ। কৃষক আব্দুল খালেক (গ্রাম—চাপড়া, কুমারখালী) জানান, “গতবার অনেক কষ্ট করেছি, কিন্তু ফলন ভালো হয়নি। এবার আল্লাহর রহমতে আবহাওয়া ভালো, সার ও পানির সুবিধাও ছিল। আশা করছি এবার ফসল ভালো হবে।”একই কথা জানিয়েছেন মিরপুর উপজেলার কৃষক রেজাউল করিমও। তিনি বলেন, “আমন ধান চাষে এবার শুরু থেকেই সরকারীভাবে সহায়তা পাওয়া গেছে। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শও পেয়েছি। ফলন ভালো হলে বাজারে ভালো দামও পাওয়ার আশা করছি।”কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (ডিডি) জানান, “এ বছর কুষ্টিয়ায় প্রায় ৭৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ও কৃষকদের সচেতনতায় ফলন ভালো হবে বলে আমরা আশা করছি।” তবে চাষাবাদের এ সাফল্য ধরে রাখতে সার, কীটনাশক ও সেচ সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা। পাশাপাশি তারা ন্যায্যমূল্যে ধান ক্রয় নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষকদের এই শ্রম ও স্বপ্ন যদি বাজারে সঠিক মূল্য পায়, তাহলে কুষ্টিয়ার আমন ধান উৎপাদন অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে—এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |