পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বিদমান দুটি পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আগামীকাল শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ‘শবগুজারি’ বা রাত্রিযাপনের কর্মসূচি ছিল। অন্যদিকে তাঁর বিরোধী পক্ষ, অর্থাৎ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরপন্থীরা টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে হামলা ও তিনজনের খুনের ঘটনায় সাদ অনুসারীদের গ্রেপ্তার, বিচারসহ আরও কিছু দাবিতে শুক্রবার থেকে কাকরাইল মসজিদসহ ওই এলাকায় অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে’ এ নির্দেশনা জারি করল।সাদপন্থীদের নেতা সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও বিরোধী পক্ষের শুরায়ী নেজামের মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরের নামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।
সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলামকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, ‘আগামী ২৭ ডিসেম্বর, রোজ শুক্রবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদে মাওলানা সাদ অনুসারীদের শবগুজারিসহ (রাত্রিযাপন) তাবলিগ জামাতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়েরকে একই চিঠি দেওয়া হয়। এ চিঠির অনুলিপি ধর্ম মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশের মহাপরিদর্শক, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), বিজিবি, এনএসআই, র্যাবের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া হয়।তাবলিগ জামাতের ভারতের মাওলানা সাদ কান্ধলভী ও ঢাকার কাকরাইলের মাওলানা জোবায়েরপন্থীদের মধ্যে ২০১৮ সাল থেকে বিরোধ চলছিল। ১৭ ডিসেম্বর দিবাগত ভোররাতে তা সংঘাত ও প্রাণহানিতে রূপ নেয়। এতে সাদপন্থীদের হামলায় তিনজন নিহত হন।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |