নিজস্ব প্রতিবেদক: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির মেয়াদ উত্তীর্ণ, বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরির বিপরীতে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ত্যাগী ও পদবঞ্চিত নেতা কর্মী বৃন্দু উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার, মিরাজুল ইসলাম রিন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্পেশাল পিপি এ্যাড. শামীম উল হাসান অপু, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক মেজবাউর রহমান পিন্টু। জেলা কৃষকদলের সাবেক সভাপতি এস এম গোলাম কবির, শহর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবু জাফর মতিন, জেলা জাসাসের সভাপতি ইমরান আহমেদ সুমন, সদর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান শিপন সহ মহিলাদল ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মী।আরো উপস্থিত ছিলেন ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। উক্ত সমাবেশে জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শামিমুল হাসান বলেন, কুতুব-জাকির কমিটিকে আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কমিটি বললে ভুল হবে না। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে কয়েক মাস আগে। আর চলতে পারে না। কুষ্টিয়া বিএনপির রাজনীতিকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। ভঙ্গুর কমিটি বাতিল করতে হবে। তিনি ‘বিতর্কিত’ কমিটি ভেঙে যোগ্যতাসম্পন্ন নেতাদের পদ দেওয়ার দাবি জানান। নেতারা অভিযোগ করেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির ইতিহাসে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম কমিটি করা হয়েছে। বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের পর সার্চ কমিটি গঠনসহ যত কমিটি গঠন করেছে, সব কমিটিতে ত্যাগী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের নেওয়া হয়েছে। এসব তাদের নিজেদের ‘পকেট কমিটি’। জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজল মাজমাদার বলেন, কুতুব-জাকিরের কমিটি ব্যর্থ কমিটি। এই কমিটির দ্বারা কুষ্টিয়া বিএনপির এক বিন্দু সাংগঠনিক কিছু হয়নি। বরং কুষ্টিয়ায় চারটি আসনে যে শক্ত অবস্থান ছিল তা ভেঙে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী নির্বাচনে চারটি আসনই হারাতে হবে। জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মেজবাউর রহমান বলেন, কমিটি বাতিলের দাবিতে বারবার আন্দোলন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদেরও জানানো হচ্ছে। সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বশিরুল আলম (চাঁদ) বলেন, আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রঘোষিত এক অনুষ্ঠান কুষ্টিয়ায় হয়। সেই অনুষ্ঠানে সংহতি জানিয়ে সবাই এক কাতারে ছিলাম। বলা হয়েছিল, অনুষ্ঠানের পর পদবঞ্চিতদের পদ দেওয়া হবে। কিন্তু আর যোগাযোগ করা হচ্ছে না।তিনি আরো বলেন কুতুব জাকির মিলে আওয়ামী লীগের দোষরদের অর্থের বিনিময়ে শক্ত অবস্থানে পৌঁছে দিচ্ছে। বিএনপির সার্চ কমিটির বিভিন্ন পদবী তাদেরকে দেয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মোকসেদুল হক কল্লোল। বিতর্কিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে পদবঞ্চিত নেতা কর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করতে হবে অন্যথায় পরবর্তীতে পদবঞ্চিত নেতারা বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন।