এ কে এম নাজমুল আলম
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এবার পাট চাষে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে এখন মাঠজুড়ে সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন ইউনিয়নে হাজার হাজার একর জমিতে এখন চোখে পড়ে সবুজ পাটগাছের সমুদ্র। চাষিরা জানিয়েছেন, এবারের মৌসুমে পাট গাছ ২ থেকে ৩ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে এবং গাছের বৃদ্ধি, রং ও গঠন দেখে মনে হচ্ছে একটি রেকর্ড পরিমাণ ফলনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মিরপুরের কৃষকদের মতে, চলতি বছরে বৃষ্টিপাত এবং জলবায়ু পাট চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল হয়েছে। চাষিরা সময়মতো বীজ বপন করতে পেরেছেন এবং বর্তমানে গাছের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় পরিচর্যা, যেমন আগাছা নিড়ানি ও সারের প্রয়োগ, তারা সফলভাবে পরিচালনা করছেন।চাষি মো. শফিকুল ইসলাম (কুর্শা ইউনিয়ন) বলেন, প্রতি বছরই আমি ৩-৪ একর জমিতে পাট করি, কিন্তু এবারের মতো এমন সবুজ ও সতেজ গাছ আগে দেখিনি। আশা করছি, এবার কেজিপ্রতি ভালো দামও পাবো।”উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রূপালী খাতুন আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। ভালো জাতের বীজ, কীটনাশক ব্যবস্থাপনা এবং পানি নিষ্কাশনের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে। চাষিরা যদি এই ধারা অব্যাহত রাখেন, তবে এবার উৎপাদন ও বাজারে ভালো দাম—দুটোই মিলবে। গত কয়েক বছরে বিশ্ববাজারে পাটের চাহিদা বেড়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে রপ্তানি সহায়তা এবং স্থানীয় হাটবাজারে ন্যায্য দাম নিশ্চিত হলে মিরপুরের চাষিরা পাটচাষে আরও আগ্রহী হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। উপজেলার কাঞ্চনপুর, উজানগ্রাম, আব্দালপুর, ঝাউদিয়া, অঞ্চলে ব্যাপক পাট চাষ হয়েছে। অনেক চাষিই আগাম পাট কাটার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁদের আশা, এবার শুধু পাট নয়, এর আঁশ ও পাটবীজও ভালো দামে বিক্রিসমারোহ। জমিতে বাম্পার ফলনের আশায় চাষিরা পুরোদমে পাট চাষে মনোযোগী হয়েছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় হাজার হাজার একর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক জমিতে পাট গাছ ২ থেকে ৩ ফিট পর্যন্ত লম্বা হয়েছে।চাষিদের ভাষ্যমতে, এবারের আবহাওয়া পাট চাষের জন্য অত্যন্ত অনুকূল। পর্যাপ্ত বৃষ্টি এবং সময়মতো পরিচর্যার কারণে গাছগুলো দ্রুত বেড়ে উঠছে। এই সময় গাছের পাতা ঘন সবুজ ও সতেজ থাকায় চাষিরা আশাবাদী যে এবছর ভালো ফলন পাওয়া যাবে।পাটচাষি আব্দুল মজিদ জানান, “গতবছরের তুলনায় এবার পাট গাছ বেশি বড় হয়েছে এবং রোগবালাইও কম। এখন নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার এবং সারের প্রয়োগ চালিয়ে যাচ্ছি। কৃষি কর্মকর্তারা বলেন “এবার পাটের বৃদ্ধি সন্তোষজনক। আমরা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করছি এবং কৃষকদের প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছি।”বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে কুষ্টিয়া জেলায় এবার পাট উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়া সম্ভব।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |