ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি 

দেশে ৫ই আগস্ট ২০২৪ ব্যাপক গণআন্দোলনের মুখে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পতন হলেও আজও তার সহযোগীদের কর্তৃক বিভিন্ন জায়গার মানুষের ঘরবাড়ি দোকানপাট অবৈধ পন্থায় আইন ও বিচার কে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে জনসাধারণের ভূমি দখলের দখলকৃত ভূমিগুলো মুক্ত হয়নি। শেখ হাসিনা সরকারের ভূমি দখলের আইনের উপর নির্ভর করে ঝিনাইদহ পৌরসভা কতৃপক্ষ আজ ও জুলুম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে অনেকের উপর ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঝিনাইদহ শহরের পাগলা কানাই এলাকায় বসবাসরত মৃত মাদার বাক্স মন্ডলের ছেলে আশরাফুল ইসলাম আসাদ জানায় যে পাগলা কানাই মোড়ে ঝিনাইদহ ১২৫ মৌজার সি এসে ৭২১ এবং এস এ ৮৪৭ খতিয়ানের ২২৬ দাগের ১০.৭৫ শতক জমি নিয়ে পৌরসভার সহিত নানান ধরনের সমস্যা চলিয়া আসিতেছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যে মামলা নম্বর ১৪/২০০৫ । যে মামলাটি তৎকালে পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু সন্ত্রাসী কায়দায় কোট এবং আইন বিভাগ দখল করে তার পক্ষে বিচারকে দিয়ে রায় ঘোষণা করে। তেরো সালের এই রায়ের পর আমার আপিলের সুযোগ না দিয়ে তিন সপ্তাহের মধ্যে সাইদুল করিম মিন্টু সাবেক পৌর মেয়র সেও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার জমি দখল করে নেয় এই সময়ে আমার ওখানে যে সমস্ত দোকানপাট এবং সরঞ্জাম দিয়েছিল সমস্ত কিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি ঘটনার প্রেক্ষিতে  ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ২০১৩ সালে এডিশনাল ওয়ান আদালতে আপিল মামলা দায়ের করি। যার মামলা নম্বর ৪৩/ ২০১৩। এই মামলা করার পর সাইদুল করিম মিন্টু তার পোষা আইনজীবী জিপিও অ্যাডভোকেট বিকাশ দিয়ে বিচারকদের হাত করে এই মামলা পৌরসভার অধীনে নেয়। আমার নামে এই সময় একটি হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো করা হয়। এই কারাগারে প্রেরণকালে সমস্ত কিছু ম্যানেজ করে এই মামলার রায় প্রদান করা হয়। আমি এই রায় হতাশ হয়ে পড়ি এবং আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে হাইকোর্ট ডিভিশনে আপিল করি যার নাম্বার ৩২৩৬/২০২২। অদ্যবধি হাইকোর্টে মামলাটা চলমান থাকাকালীন সময়ে পূর্বের সন্ত্রাসী মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর নেয় বর্তমান ঝিনাইদহ পৌর কর্তৃপক্ষের মদদে ওই জমিতে ৪/৫/২৫ তারিখ আনুমানিক ১০ ঘটিকার সময় জোরপূর্ব দখল নিয়া গায়ের জোরে পৌরসভার ঘর গুলির সংস্কার কাজ করিতেছে। মৌখিক নিষেধ করিলে পূর্বের মতই হুমকি ধামকি দেয়া শুরু করিয়াছে। এই হুমকি ধামকির প্রতিবাদে সর্বশেষ ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের শরণাপন্ন হয়ে পিটিশন দায়ের করি। এই পিটিশন বাইরের প্রেক্ষিতে ৮ /৫/ ২০২৫ তারিখে ঝিনাইদহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত উক্ত জমির উপর ১৪৪ ধারা জারি করে। যার পিটিশন নাম্বার ৩৭২/২০২৫। সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাৎকার কালে আসাদ আরো বলেন যে বিগত ফ্যাসিজ সরকারের সহযোগী সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু যেভাবে ভূমি দখল করে বহু টাকার বিনিময়ে মানুষের দোকান দিয়েছিল সেই পথ অবলম্বন করছে বর্তমানের ঝিনাইদহের পৌরসভার প্রধান সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান হাবিব এসেছে বাবুল এক্সচেঞ্জ কামাল প্রমুখ।