নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউরিয়ায় একইসঙ্গে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করে বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মহম্মদ মুসা করিমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাকে শোকজ করা হয়েছে। বুধবার (২ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক সই করা এক চিঠির মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাকে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনি যে দুই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তা হল প্রতিষ্ঠান ১: ছেঁউরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় (প্রধান শিক্ষক) প্রতিষ্ঠান ২: গাড়াবাড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদরাসা, হরিণাকুণ্ডু, ঝিনাইদহ (সহকারী শিক্ষক – গণিত, নিয়োগ: এনটিআরসিএ মাধ্যমে) মুসা করিম ২০১৩ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে ছেঁউরিয়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং ২০১৫ সালে প্রধান শিক্ষক হন। কিন্তু এই পদে কর্মরত থাকাকালীন ২০২২ সালে তিনি এনটিআরসিএ-এর মাধ্যমে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন এবং মে ও জুন মাসে বেতনও তোলেন। এরপর ৩০ জুন পদত্যাগপত্র জমা দেন। আরও গুরুতর অভিযোগ: ভুয়া রেজুলেশন করে ২০০৩ সাল থেকে নিয়োগ দেখিয়ে অতিরিক্ত বেতন দাবি। শিক্ষা অধিদপ্তরের ব্যানবেইস ডেটাবেইসে এই তথ্য নেই। নিয়োগপত্র ছাড়া মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে প্রিয়া সুলতানা নামে এক নারীকে অফিস সহায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। বুধবার বিকেলে ফোনে মুসা করিম বলেন,“শোকজের বিষয়টি শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। শোকজের জবাব দেওয়ার চেষ্টা করবো।” এ ঘটনায় স্থানীয় শিক্ষা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। একই সঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি এবং বেতন গ্রহণ করা সরকারি বিধি-বিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |