কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মোঃ মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়ায় দফায়-দফায় বেড়ে চলেছে সবজির দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য এখন বাজার করা যেন রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে উঠেছে।সোমবার (১৮ আগস্ট) কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। এক সপ্তাহ আগে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন এখন ১২০ টাকা কেজি। কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। পটল ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা, চালকুমড়া ২০ থেকে ৪০ টাকা, ঝিঙা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকা, আর ঢেঁড়স ৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা কেজি। একইভাবে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে ও কাঁচা কলার দামও ঊর্ধ্বমুখী। একজন ক্ষুব্ধ ক্রেতা বলেন, “বাজারে ৫০ টাকার বেগুন এখন ১২০ টাকা। সবজির দাম একেবারেই লাগামছাড়া। গরিব মানুষের বাজার করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনিটরিং না থাকায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। পৌরবাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “আমরা বেশি দামে কিনি, বেশি দামে বিক্রি করি। সীমিত লাভ করি। কম দামে কিনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করতাম। এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুম আলী এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, “বৃষ্টির কারণে মাঠে সবজি উৎপাদন কমেছে। সরবরাহও হ্রাস পেয়েছে। তবে কেউ অস্বাভাবিক হারে দাম বাড়ালে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। বাজার নিয়ন্ত্রণে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।”
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |