কবিতা
যে শুধু দেখে উপভোগ করা যায়।
নারী এক রহস্যময় বাগান,
যাকে বুঝতে হয় ধৈর্য দিয়ে, মায়া দিয়ে।
সে চায় না দামি উপহার,
সে চায় বোঝার মতো একটা হৃদয়,
যেখানে সে নিজের সমস্ত ছেলেমানুষি হারাতে পারে।
নারী চায় এমন একজন পুরুষ,
যার চোখে সে নিজেকে সবচেয়ে সুন্দরী মনে করে।
যার ভালোবাসায় সে নিজের হাজারো অসম্পূর্ণতাকে ভুলে যায়।
নারী চায় না রাতারাতি প্রেমের গল্প,
সে চায় দিনের পর দিন তৈরি হওয়া বন্ধুত্বের ভেতর জন্ম নেয়া নিঃশর্ত ভালোবাসা।
সে চায় কারও হাতে হাত রেখে হাঁটতে,
কারও চোখের ভাষায় নিজেকে আবিষ্কার করতে,
কারও নিশ্চুপ কাঁধে মাথা রেখে সমস্ত ক্লান্তি ভুলে যেতে।
নারী জানে—শরীর ক্ষণস্থায়ী,
কিন্তু হৃদয়?
হৃদয় হয়ে থাকে চিরকালীন।
সে চায় এমন একজন,
যে তার ভয়, ব্যথা আর অশ্রুকেও ভালোবাসবে।
নারী চাইলে হাসতে হাসতেই কাঁদতে পারে,
আবার কাঁদতে কাঁদতেই সারা পৃথিবী জিতে নিতে পারে।
সে চায় এমন ভালোবাসা,
যেখানে তার প্রতিটি দুর্বলতা হয়ে উঠবে তার শক্তি।
যেখানে তার নীরবতা হবে সবচেয়ে মধুর ভাষা।
নারী কোনো স্বপ্ন নয়,
সে হলো স্বপ্ন দেখানোর এক অদ্ভুত ক্ষমতা।
যে ছুঁয়ে দেয়, গড়ে দেয়, আবার ভেঙেও দিতে পারে।
তাকে ভালোবাসা মানে,
তার সমস্ত আলো আর অন্ধকারকে আলিঙ্গন করা।
তার চোখের কষ্টের ছায়াকে আপন করে নেওয়া।
কারণ সত্যিকারের পুরুষ সে-ই,
যে নারীর শরীর নয়, হৃদয়কে আপন করে নেয়।
নারী তার সৌন্দর্য দিয়ে নয়,
তার অনুভব দিয়ে পৃথিবী বদলে দেয়।
আর যে পুরুষ এটা বোঝে,
তার হাত ধরে নারী হেঁটে যায় অনন্ত সুখের দিকে...
ভালোবাসা শরীরের খেলা নয়,
ভালোবাসা হলো—
দুটি আত্মার নীরব চুক্তি।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |