একেএম নাজমুল আলম
লজ্জাবতী গাছ বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রকৃতির একটি অত্যাশ্চর্য উদ্ভিদ, যা স্পর্শ পেলেই পাতা গুটিয়ে নেওয়ার অনন্য ক্ষমতার জন্য বিখ্যাত। সম্প্রতি গবেষকরা এর ঔষধি গুণ ও পরিবেশগত ভূমিকা নিয়ে নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন। স্পর্শকাতরতা গাছটির পাতা স্পর্শ বা ঝাঁকুনি পেলে ২-৩ সেকেন্ডের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এটি একটি প্রতিরক্ষা যা পোকামাকড় বা চারণ প্রাণী থেকে নিজেকে রক্ষা করে। বাংলাদেশের মাটি ও আর্দ্র জলবায়ুতে এটি সহজে জন্মে, বিশেষ করে রাস্তার ধার, ফাঁকা মাঠ বা বাগানে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় লজ্জাবতীর মূল ও পাতা ডায়াবেটিস, অ্যালার্জি এবং প্রদাহ কমানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় এর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রমাণিত হয়েছে। মাটির নাইট্রোজেন স্তর বাড়ায়, যা কৃষিজমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কীটনাশকের অত্যধিক ব্যবহার ও নগরায়ণের কারণে লজ্জাবতীর প্রাকৃতিক আবাস কমছে। স্কুল-কলেজে প্রকৃতি শিক্ষার অংশ হিসেবে এ গাছ চেনানো। ড. আফসানা বেগম (উদ্ভিদ বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়) বলেন লজ্জাবতী গাছ কেবল কৌতূহলের বিষয় নয়, এটি একটি প্রাকৃতিক ওষুধের ভান্ডার। এর সংরক্ষণ প্রয়োজন। লজ্জাবতী গাছ প্রকৃতির একটি জীবন্ত বিস্ময়, যা বিজ্ঞান, পরিবেশ ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ। এটি রক্ষায় ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ জরুরি।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |