কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: মো. মুনজুরুল ইসলাম
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপি’র সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল নির্বাচনের পর চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার (২৯ জুন) সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেলের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে চেয়ার মার্কা প্রতীকে সিল মারা একাধিক ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুরো শহরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাংবাদিক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোস্টেলের পুরনো একটি কক্ষে ব্যালট পেপারগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। প্রত্যেকটি ব্যালটে এককভাবে চেয়ার মার্কা প্রতীকে সিল মারা ছিল, যা নির্বাচনী অনিয়মের সুস্পষ্ট প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। এই অনিয়ম ফাঁস হওয়ার পর কুষ্টিয়ার সর্বস্তরের বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁরা এই ঘটনাকে গণতন্ত্রের চরম অবমাননা বলে আখ্যা দিয়েছেন। শহরজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে, অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অবৈধভাবে গঠিত কমিটি ও বিতর্কিত নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছেন।বিএনপির ত্যাগী ও দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় নেতারা বলছেন, ‘‘এই অবৈধ কমিটি ও একতরফা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচনের নামে যে প্রহসন চালানো হয়েছে, তা প্রমাণিত হয়েছে এই ব্যালট পেপার উদ্ধারের মাধ্যমে।’’ তারা অবিলম্বে এই নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধানে পুনরায় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতাদের কাছ থেকেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাচনকে ঘিরে আগে থেকেই কারচুপি, ভোটার তালিকায় জালিয়াতি এবং গোপন ব্যালট ছাপানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবার হোস্টেল থেকে এমন ব্যালট উদ্ধারে অভিযোগগুলো আরও জোরালো হলো। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের নিরবতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ জনগণ। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, ‘‘গণতন্ত্র রক্ষা করতে হলে রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনেও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। অন্যথায় জনমত ও দলীয় ঐক্য দুইই ভেঙে পড়বে।’’এ ঘটনায় কুষ্টিয়া বিএনপি’র রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |