একেএম নাজমুল আলম
কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে শুক্রবার (২রা মে) সকাল ১১:০০ টায় এক মনোজ্ঞ অভিভাবক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় বিশিষ্টজনেরা অংশগ্রহণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ সাদী এশিওর গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগ্ম আহ্বায়ক, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, একটি জাতিকে শিক্ষিত করে তুলতে হলে মা-বাবার সহযোগিতা ও সচেতনতা অপরিহার্য। বিদ্যালয় শুধু পাঠদানের স্থান নয়, বরং মানবিক ও সামাজিক মূল্যবোধ শেখারও কেন্দ্র। তিনি আরো বলেন এই স্কুল নিয়ে আমারও অনেক স্বপ্ন আছে। ভারতীয় উপমহাদেশের প্রথম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কুমারখালীতে এখানে রবীন্দ্রনাথ, মীর মোশাররফ হোসেনের বাস্তুভিটা সাংবাদিক কাঙ্গাল হরিনাথের জন্মভূমি ফকির লালন শাহের আখড়া এই কুমারখালীতে। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে শ্রেষ্ঠ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় রূপান্তর করবেন। তিনি আরো বলেন শুধু এই বিদ্যালয় নয় কুমারখালী ও খোকসা উপজেলার যত বিদ্যালয় আছে সবগুলো বিদ্যালয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন। তিনি অঙ্গীকার করে আরো বলেন সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে দুই হাজার গভীর নলকূপ আনার ব্যবস্থা করবেন আগামী জুন মাসের মধ্যে এবং কুমারখালীর মধ্যে যে সমস্ত স্কুলগুলোতে গভীর নলকূপ নেই সেই সেই সব স্কুলগুলোতে গভীর নলকূপ স্থাপন করা হবে। মা ও বাবা শুধু অভিভাবক হয়ে নন মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে তাদের সব রকম খোঁজ খবর নিতে হবে মাঝেমধ্যে তাদের সাথে স্কুলে আসতে হবে। তাদের সকালের নাস্তা করে স্কুলে গিয়েছে কিনা নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরো গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেন বর্তমান সময়ে এই সমাজে একজন ছেলের চেয়ে একটি মেয়েকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা খুব সহজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, কুমারখালী। তিনি শিক্ষার মানোন্নয়নে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সমন্বিত ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিটি অভিভাবক ও মাকে বলেন তারা যেন তাদের মেয়েদেরকে লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে তুলেন। আরো এক বিশেষ অতিথি ছিলেন আনোয়ার হোসেন , সভাপতি, ম্যানেজিং কমিটি, আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। তিনি বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে অভিভাবকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো বাল্যবিবাহ এর বিরোধ করতে হবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী মেয়েদের ১৮ বছরের নিচে বিয়ে দেয়া যাবে না এদিকে সবচেয়ে প্রথম খেয়াল রাখতে হবে তাদের মায়েদেরকে। তিনি আরো অঙ্গীকার করে বলেন এই স্কুলে যাদের পোশাক বানানোর আর্থিক অসচ্ছলতা তাদেরকে সাহায্য করা হবে। যারা পরীক্ষার ফিস দিতে পারবে না পড়ার খরচ চালাতে পারবে না তাদেরকে আমরা আর্থিকভাবে সাহায্য করবো। সমাবেশের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জনাব মিজানুর রহমান প্রধান শিক্ষক, আলাউদ্দিন নগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। তিনি বলেন, শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে অভিভাবক এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একসাথে কাজ করলেই কেবল উন্নত ফলাফল সম্ভব। সমাবেশে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও মতামত আদান-প্রদান শিক্ষার অগ্রগতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে তখন যখন প্রত্যেকটি সন্তান তার পিতা-মাতার সম্পদ হয়। কোন সন্তান যেন পিতা-মাতার বোঝা না হয় সেদিকে সকল অভিভাবককে সুদৃষ্টি রাখতে হবে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |