কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখন চিচিঙ্গা চাষে কৃষকদের মুখে হাসি। অল্প পুঁজিতে লাভজনক এই ফসল চাষ করে বদলে যাচ্ছে কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থা। বিশেষ করে কুষ্টিয়া সদর, খোকসা ও কুমারখালী উপজেলার কৃষকরা চিচিঙ্গা চাষে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন।স্থানীয় কৃষক মো.মিলন হোসেন (৪৫), যিনি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মনোহরদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা, জানান, “আগে ধান আর সবজির মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলাম। কিন্তু কৃষি অফিসের পরামর্শে গত তিন বছর ধরে চিচিঙ্গা চাষ করছি। অল্প খরচে ভালো ফলন ও বাজারে চাহিদা বেশি থাকায় এখন এই ফসলটাই আমার মূল আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।”কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বিঘা জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করতে গড়ে খরচ হয় প্রায় ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। আর বিক্রি করে আয় হয় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। উৎপাদনের খরচ তুলনামূলক কম এবং রোগবালাই কম হওয়ায় কৃষকেরা ঝুঁকছে এই ফসলে। কুষ্টিয়া সদর উপজলো কৃষি অফিসার রুপালী খাতুন বলেন, “আমরা কৃষকদের আধুনিক পদ্ধতিতে চিচিঙ্গা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। ভালো জাত, সঠিক সেচ ও পরিচর্যার মাধ্যমে কৃষকরা আশানুরূপ ফল পাচ্ছে। এই ফসল এখন অনেকের জন্যই একটি অর্থনৈতিক মুক্তির পথ।”চিচিঙ্গার চাহিদা শহরাঞ্চলের বাজারে অনেক বেশি। তাই ফসল উঠার সঙ্গে সঙ্গেই পাইকাররা মাঠ থেকেই চিচিঙ্গা কিনে নিচ্ছেন। ফলে কৃষকদের বাজারজাতকরণ নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, কুষ্টিয়ার মাটি ও আবহাওয়া চিচিঙ্গা চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় এখানে এর সম্ভাবনা ব্যাপক। সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতা পেলে এই ফসল থেকে আরও বেশি কৃষক লাভবান হতে পারবেন। চিচিঙ্গা চাষ এখন কুষ্টিয়ার কৃষকদের জন্য শুধুই একটি সবজি উৎপাদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে গ্রামীণ অর্থনীতির একটি সম্ভাবনাময় দিক। পরিকল্পিতভাবে চাষাবাদ ও বাজারজাতকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে এই সাফল্য সারা দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ফজর | ৫.২১ মিনিট ভোর |
---|---|
যোহর | ১.৩০ মিনিট দুপুর |
আছর | ৩.৪৭ মিনিট বিকাল |
মাগরিব | ৫.২৬ মিনিট সন্ধ্যা |
এশা | ৬.৪৪ মিনিট রাত |
জুম্মা | ১২.৩০ মিনিট দুপুর |